এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাজি পোড়ানো নিয়ে এবার বিধায়ককে হেনস্তার অভিযোগ তৃনমূল প্রধানের বিরুদ্ধে, এলাকায় চাঞ্চল্য

বাজি পোড়ানো নিয়ে এবার বিধায়ককে হেনস্তার অভিযোগ তৃনমূল প্রধানের বিরুদ্ধে, এলাকায় চাঞ্চল্য


এমনি সময় প্রায়শই রাজ্যের শাসক বনাম বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে তরজা লেগেই থাকে। কিন্তু বাংলার প্রিয় দুর্গোৎসবেও যে শাসক-বিরোধী নেতার ঝামেলা বজায় থাকবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। তবে মঙ্গলবার দশমীর রাতে বাজি পোড়ানো নিয়ে প্রবল বচসায় জড়াতে দেখা গেল, কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান এবং আন্দুলিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মালেক শেখকে।

জানা গেছে, কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খানের কান্দি থানা সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি। আর থানার পেছনেই কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। অভিযোগ, দশমীর রাতে সেই জায়গায় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী সমর্থক বাজি পোড়ালে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক এসে সেই ঘটনার তীব্র আপত্তি জানিয়ে তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

অপরদিকে এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই সেখানে উপস্থিত হন আন্দুলিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মালেক শেখ। আর তারপরেই পরিস্থিতি আরও তীব্র আকার ধারণ করে। যার পরেই দেখা যায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক। পরে অবশ্য দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে এই অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতিকে কিছুটা হলেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল সাহেব বলেন, “রাতে তৃণমূলের ছেলেরা ওই রাস্তার পাশে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাজি পোড়াচ্ছিল। তাতে মহিলারা সেদিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছিলেন না। আমি সেই কথা ভালোভাবে বোঝাতে গেলে ওরা লোক জড়ো করে সেখানে বড় ধরনের গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল।”

এদিকে কংগ্রেস বিধায়কের এহেন অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মালেক শেখ। তিনি বলেন, “বিধায়কই নেশাগ্রস্তদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে বাজি পোড়াচ্ছিলেন। মানুষের সমস্যা হচ্ছিল। কাছেই একটি নার্সিংহোম রয়েছে। তাই আমি সেখানে বিষয়টা জানতে গিয়েছিলাম।”

একইভাবে এই ব্যাপারে কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকারকে। তিনি বলেন, “আমাদের দলের ছেলেরা নয়, বিধায়ক নিজের দলের ছেলেদের নিয়ে সেখানে বাজি পোড়াচ্ছিলেন। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ দুপক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।” সব মিলিয়ে দশমীতে বাজি পোড়ানোর দিনেও শাসক-বিরোধী তরজা বজায় রইল রাজ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!