এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য >  এক বিধায়ক বেঁচেছেন অল্পের জন্য, আরেক বিধায়ক খুন – আরও আঁটোসাঁটো হচ্ছে বিধায়ক- সাংসদদের নিরাপত্তা

 এক বিধায়ক বেঁচেছেন অল্পের জন্য, আরেক বিধায়ক খুন – আরও আঁটোসাঁটো হচ্ছে বিধায়ক- সাংসদদের নিরাপত্তা


সরস্বতী পুজোর দিন হঠাৎই কৃষ্ণগঞ্জ তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় এখন নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ’ বিধায়ক খুন হওয়াতে যখন শাসক দলের অন্দরে শোকের ছায়া, ঠিক তখনই যাতে আর কারও ক্ষেত্রে এই ঘটনা না ঘটে সেজন্য বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করেছে পুলিশ কর্তারা। বিশেষত সীমান্তবর্তী জেলার নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার দিকে জোর দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়ার ব্যাপারে কথা হলেও মিহির বাবু তা নিতে নারাজ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর থেকেই রাজ্যের বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে জোরদার করেছে পুলিশ প্রশাসন। এমনকি সীমান্তবর্তী জেলার শাসক দলের বিধায়ক, নেতা-মন্ত্রীরা হঠাৎ করেই তাদের গাড়িতে যেন অপরিচিত কাউকে তুলে না নেয় সেজন্যও তাদের জানানো হয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি আগে হঠাৎ করে এই মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের দেহরক্ষীরা ছুটি নিলেও এখন তারা আর সেই ভাবে ছুটি নিতে পারবেন না বলেও পুলিশ প্রশাসনের তরফে সেই দেহরক্ষীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যখন কোচবিহারের সমস্ত শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী বিধায়ক ও সাংসদদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত দেহরক্ষী দিতে চাইছে, ঠিক তখনই তা নিতে অস্বীকার করেছেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তা বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছি।

কয়েকজনের নিরাপত্তা বৃদ্ধিও করা হয়েছে। তবে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক কোনো নিরাপত্তারক্ষী নিতে চাননি। উনি কোথাও যাওয়ার সময় আমাদের জানালে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।” কিন্তু কেন তিনি দেহরক্ষী নিলেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মিহির গোস্বামী বলেন, “সাধারণ মানুষের সঙ্গেই আমি সর্বক্ষণ থাকি। তাঁরাই আমাকে নিরাপত্তা দেন। আর আমার বিধানসভা এলাকায় যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি রয়েছে। মানুষ যথেষ্ট স্বস্তিতে রয়েছেন। তাই আমার কোনো নিরাপত্তা রক্ষীর প্রয়োজন নেই।”

সব মিলিয়ে এবার নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!