এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > নেই ‘কাট মার্কস’ তবুও অধ্যাপিকা পদে নিয়োগ বিধায়কের স্ত্রী বলে? বিতর্ক শুরু হতেই তদন্ত কমিটি

নেই ‘কাট মার্কস’ তবুও অধ্যাপিকা পদে নিয়োগ বিধায়কের স্ত্রী বলে? বিতর্ক শুরু হতেই তদন্ত কমিটি


সম্প্রতি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপিকার নিয়োগ সংক্রান্ত বিতর্কের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগ নিলো। প্রসঙ্গতঃ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন আইন বিভাগের অধ্যাপিকা অঞ্জনা মাহাতর নিয়োগ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে জুলাই মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এদিন দুপুরে বিদেশ সফররত উপাচার্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোন করে বললেন, ” ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিকে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। আগামী আগস্ট মাসে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হবে। আমি ওই বৈঠকে রিপোর্ট পেশ করব। এব্যাপারে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে অঞ্জনা দেবীও এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে একপ্রকার তোপ দাগলেন। উল্লেখ্য ২০১৫সালের জুন মাসে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিভাগে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন অঞ্জনা দেবী। ২০১৬ সালে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। এদিন অবধি সব সুষ্ঠভাবেই চলছিলো । মাস কয়েক আগে তিনি পিএইচডির জন্য আবেদন করেন। ওইসময় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত নথিপত্র যাচাই করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে অঞ্জনাদেবী নেট পরীক্ষায় ইউজিসি নির্ধারিত ‘কাট অব মার্কসের’ থেকে কম নম্বর পেয়ে অধ্যাপনার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এমনটাই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

এই ঘটনায় চরম অস্বস্তির মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শালবনীর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতর স্ত্রী অঞ্জনা মাহাতো। তিনি নিজেও সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। সরাসরি রাজ্য সরকারের জন প্রতিনিধি হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। মাসখানেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেখানে উপাচার্য বিষয়টি উত্থাপন করেন। পুরো ঘটনার কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই সকলে হতবাক হয়ে যান। জানা যাচ্ছে ঐ বৈঠকে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব পদমর্যাদার এক কর্তা ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন। ফলে বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পায়। কাউন্সিলের সদস্যরা উপাচার্যকে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য পরামর্শ দেন।

তারপর উপাচার্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মহলেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। কী করে সকলের চোখ এড়িয়ে এই নিয়োগ হলো । এতদিন অবধি কী করেই বা সেটা চাপা ছিলো। এই প্রসঙ্গে স্বয়ং অঞ্জনা দেবী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যপদ্ধতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেই বললেন, ” আমি নেট পরীক্ষায় পাশ করে অধ্যাপক পদের জন্য বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। নেট পরীক্ষায় ইউজিসি নির্ধারিত ‘কাট অব মার্কসের’ বিষয়টি ভালোভাবে জানার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আমাকে নিয়োগ করা উচিত ছিল।

চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় মোট পাঁচবার আমার নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে। ওইসময় কেন আমাকে এসম্পর্কে কিছু বলা হয়নি? তদন্ত কমিটি আমাকে এখনও পর্যন্ত ডাকেনি। তবে তাদের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন হবে কি না তা জানি না। কারণ আগামী সপ্তাহেই ওই কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে আমি আদালতে মামলা করব। ” এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয় সেটা দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!