এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুর বক্তব্যকে ঘিরে বিধানসভায় প্রায় হাতাহাতি বিধায়কদের! ধুন্ধুমার থামাতে আসরে মমতা

শুভেন্দুর বক্তব্যকে ঘিরে বিধানসভায় প্রায় হাতাহাতি বিধায়কদের! ধুন্ধুমার থামাতে আসরে মমতা

বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরী হল আজ। বিরোধীদের এক প্রশ্নকে ঘিরে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কিছু কথা, যা পরে বিধানসভার রেকর্ড থেকেও মুছে ফেলতে হয় – তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে ওঠে যে শেষপর্যন্ত ওয়েলে নেমে তা সামাল দিতে হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কার্যত হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে।

আজ বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন বড়ঞার বিধায়ক প্রতিমা রজক, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন সরকারি বসে নিয়োগ নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন ছিল, বর্তমানে সরকারি বাসগুলিতে নিয়োগ নিয়ম মেনে হচ্ছে না, জন প্রতি নিয়োগের জন্য ৩-৪ লক্ষের মত মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে! আর বিরোধী দলের বিধায়কের এহেন প্রশ্ন শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শুভেন্দুবাবু!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই বলতে থাকেন, কংগ্রেস বিধায়ক হয় নিজের অভিযোগ প্রমান করুন অথবা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান। পাল্টা দেন প্রতিমাদেবীও। তিনি বলেন বিধানসভায় তিনি ক্ষমা চাইবেন কিনা, তা একজন মন্ত্রী হিসাবে শুভেন্দুবাবু ঠিক করতে পারেন না, তা ঠিক করবেন বিধানসভার স্পিকার! আর এতেই আরও চোটে গিয়ে রীতিমত হুমকির সুরে শুভেন্দুবাবু বলে ওঠেন, মুর্শিদাবাদ থেকে কংগ্রেসের আর কেউ জিততে পারবে না। এরপর মুর্শিদাবাদ ফাঁকা হয়ে যাবে!

রাজ্যের মন্ত্রীর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এইভাবে কথা বলায় রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে মন্ত্রীর দিকে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে যান মুর্শিদাবাদেরই ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য বাম ও কংগ্রেস বিধায়করাও। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিধায়করাও শুভেন্দুবাবুর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন – প্রায় হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওয়েলে নেমে রীতিমত ধমক দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপর দুপক্ষের বিধায়কদের সংযত থাকার কথা বলে বিধানসভার রেকর্ড থেকে শুভেন্দুবাবুর ‘ফাঁকা’ করে দেওয়া বক্তব্যটি বিধানসভার রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!