২০২০ সাল বিশ্বকে একের পর এক দিচ্ছে নয়া চমক। যদিও এই চমকগুলি বিশ্বের ক্ষেত্রে মোটেও সুখপ্রদ নয়। জানা গেছে সম্প্রতি বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় উঠে এসেছে গোটা বিশ্বে বন্ধ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট, মোবাইলের মতো পরিষেবা।এমনকি কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্যাটেলাইটও।

বর্তমানে গোটা পৃথিবী করোনার করাল থাবায় ধুঁকছে। প্রতিদিন গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। এরই মধ্যে বাংলা ও ওড়িষাকে আঘাত করেছে সুপার সাইক্লোন আমফান। বিশেষত বাংলাকে পুরো দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে চলে গেছে এই সুপার সাইক্লোন।

বিদ্ধস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বাংলার একাধিক জেলা। কার্যত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবে এখনও বিচ্ছিন্ন বাংলার ইন্টারনেট পরিষেবা। সূত্রের খবর তারই মধ্যে এবার চিন্তা বাড়ালো ইউরোপিয়ান স্পেশ এজেন্সি ও তাঁদের তোলা কিছু স্যাটেলাইট ছবি। ওই স্যাটেলাইট ছবির ওপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন ক্রমাগতই দুর্বল হয়ে আসছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র। জানা গেছে বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হলে ধ্বংসের পথে পা বাড়াবে মানবসভ্যতা।

বৈজ্ঞানিকদের মত অনুযায়ী জানা গেছে এই চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হলে প্রথমেই যেটা হবে তা হলো পৃথিবীর মেরু পরিবর্তন। জানা গেছে বর্তমান দিন থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৮০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর মেরু পরিবর্তিত হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ম্যাগনেটিক নর্থ এবং ম্যাগনেটিক সাউথের মধ্যে গন্ডগোল দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা যায় এই চৌম্বক ক্ষেত্রই পৃথিবীকে মহাজাগতিক ক্ষতিকারক নানা রকম রশ্মি থেকে প্রতিনিয়ত সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফলত এই চৌম্বক ক্ষেত্র মানবজীবনের অস্তিত্বের জন্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে বিজ্ঞানীরা এই চৌম্বক ক্ষেত্রের বিষয়ে যে ধারণা আমাদের কাছে ব্যক্ত করেছেন তা হলো পৃথিবীর এই চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। আর পৃথিবী পৃষ্ঠে এর আয়তন প্রায় ২৫- ৬৫ মাইক্রোটেসলা। স্যাটেলাইট ইমেজ অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা এবিষয়ে জানিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চৌম্বক ক্ষেত্র ক্রমাগতই দুর্বল হয়ে আসছে।

যা মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের দিকে ধীরগতিতে ঠেলে দিতে সক্ষম এমনটাই দাবি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মহলের। তবে বিজ্ঞানীদের মতে অদূর ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সম্মুখীন হবে পৃথিবী। একদিনেই সব কিছু বদলে যাবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা এমনটাই সূত্রের খবর।