এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অবাধ মদের লাইসেন্স নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে পথে নামছে ‘হবু বন্ধু’

অবাধ মদের লাইসেন্স নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে পথে নামছে ‘হবু বন্ধু’


শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মদের ব্যবসার অবাধ ছাড়পত্রের ঘোষণারকেও তাই মনে করছে কংগ্রেস।আর এর প্রতিবাদে আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর প্রতিবাদ আন্দোলনে নামতে চলেছে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল।

ফাঁকা কোষাগারে বর্তমানে ভাঁরে মা ভবানী দশা আর তা ভরাতেই বাংলায় অবাধ মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এর ফল হতে পারে মারাত্মক সমাজে বাড়তে পারে ব্যভিচার অন্নত এমনটাই মনে করে কংগ্রেস। কংগ্রসের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, ”পুজোর পরই জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচী নেওয়া হবে।”এবং এই ইস্যুতে বিধানসভায় সরব হওয়ার পাশাপাশি আইনী পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সরকারি কোষাগারে আয় বাড়াতে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।এমনকি গোটা রাজ্যে মদের পাইকারি ব্যবসার রাশও এবার নিজেদের হাতে নিতে চলেছে সরকার! সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী , ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশন লিমিটেড ‘-ই অদূর ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র পাইকারি সংস্থা হবে, যারা দেশি ও বিলাতি মদের পুরোটাই প্রস্ত্ততকারক সংস্থাগুলির কাছ থেকে রাজ্যে বিক্রির জন্য কিনে নেবে তারা। এমনকি, বিদেশি মদের আমদানির সম্পূর্ণ অধিকারও ন্যস্ত থাকবে তাদেরই হাতে।

মিল্টন রশিদের কথায়, ”আগের সরকারের জমানায় শুনেছি চল পড়াই, কিছু করে দেখাই। এই সরকারের আমলে শুনছি, চল মদ খাওয়াই, কিছু করে দেখাই। রাজস্বের লোভে গ্রামে গ্রামে মদের দোকান করে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যতের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই। চাকরি নেই। বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বেকারদের নেশায় আসক্ত করানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেন। বিরোধীতায় সরব শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। সামনেই ২০১৯ লোকসভা ভোট।আর তার আগে প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে এ এক বড় হাতিয়ার। তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলায় দলীয় সংগঠন মজবুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাই যে মদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভোট ময়দানে সেই ‘মদ’কে হাতিয়ার করেই ফায়দা তুলতে মরিয়া হাত শিবির।এখন এটাই তাদের ব্রহ্মাস্ত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!