এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ছক উল্টে দিতে কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোক? সরকার বাঁচাতে আসরে খোদ মোদী?

মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ছক উল্টে দিতে কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোক? সরকার বাঁচাতে আসরে খোদ মোদী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরেরই রয়েছে বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, অন্যদিকে রয়েছে মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ২৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এইদুটি নির্বাচনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের অধীনে গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রায় দু’লক্ষ পরিবারের জন্য । এই বাড়ি গুলির গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাবে যোগদান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপজাতি অধ্যুষিত মধ্যপ্রদেশের বেশকিছু গ্রামের বাড়ির মালিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল ভাবে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এই অনুষ্ঠানে প্রধানবমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এর কথা তুলে ধরলেন । সেইসঙ্গে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্যের শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের বেশকিছু কৃতিত্বকে তুলে ধরলেন। তার সঙ্গেই তিনি পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলোও, সরাসরি কংগ্রেসের নাম না করেই বললেন। প্রধানমন্ত্রী জানালেন। ” করোনার সঙ্কট না-থাকলে আমি আজ নিজে যেতাম এই আনন্দ ভাগ করে নিতে। আশা করি এ বছর দেওয়ালি এবং অন্যান্য উৎসব অনেক ভাল হবে।”

প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে পৌনে দুই লাখ দরিদ্র পরিবারকে আশ্রয়স্থল দেওয়ার এই ঘটনাকে সমগ্রদেশের গৃহহীন মানুষের প্রতি একটা শুভসংকেত বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া তাঁর এই বক্তৃতায় তিনি এই রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক দের কথাও তুলে ধরলেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে তিনি বললেন, ” বিভিন্ন শহর থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে আসা শ্রমিকদের ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রমের ফলে বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত হয়েছে। তাঁরাও এই প্রকল্পে জুড়ে গিয়েছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, সরাসরি কংগ্রেসের নাম না করেও প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য বেশকিছু আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু নাম বদল করে একই প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে চালানো হয়েছে। আর এর ফলেই দেশের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষ আবাসন লাভ করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, পূর্বতন সরকার তার সময়ে নেওয়া প্রকল্পগুলিতে খুব বেশি কতৃত্ব ফলিয়েছিল। কে কে গৃহ পাবেন?

এই সমস্ত ব্যাপারে দিল্লি একতরফাভাবে নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিত। তাঁর অভিযোগ, এই রাজ্যের আদিবাসীরা কিভাবে থাকতে চান, তাদের জীবনধারাকে কেমন, তাদের আবাসন ব্যবস্থা কেমন হবে, সে সমস্ত ব্যাপারে পূর্বতন সরকারের কোন ধারণা ছিল না সেইসঙ্গে বাড়ি পাবার জন্য সরকারি কর্মীদের পেছনে পেছনে ঘুরতে হতো সাধারণ মানুষকে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ” আমরা ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি উল্টে গিয়েছে। সরকারই এখন খুঁজে বার করছে কার বাড়ি প্রয়োজন।”

অন্যদিকে পূর্বতন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর ২২ জন অনুগামী কংগ্রেসি বিধায়ক কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এগুলির সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের আরও কিছু বিধায়ক শুন্য বিধানসভা আসন যোগ করে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে ২৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রর উপনির্বাচন। এই উপ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ শেষ হওয়ার আগেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলো।আবার বিজেপির সিন্ধিয়া বিরোধী বেশ কিছু নেতা সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, যোগদান করেছেন কিছু বিএসপি নেতাও। যার কারণে সম্প্রতি এটি-সক্রিয় কংগ্রেস। তবে এরফলে বিজেপি সরকারের কোনো সমস্যা না হলেও কংগ্রেসের এই অতিসক্রিয়তাকে রোধ করতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই নেমে পড়লেন।এমনটাই বিভিন্ন সূত্রের অনুমান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!