এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাতেও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর রাজনীতি আর ‘ছায়াযুদ্ধ’ খুঁজে পেলেন তৃণমূল নেত্রী

পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাতেও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর রাজনীতি আর ‘ছায়াযুদ্ধ’ খুঁজে পেলেন তৃণমূল নেত্রী

পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়েও বিজেপি সরকারকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় এই মর্মান্তিক জঙ্গী হামলার জন্যে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি-কে সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। নবান্নে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ছিল এদিন।

সেখানেই বিক্ষুব্ধ নেত্রী গর্জে উঠে বললেন,”পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনীতি চলছে। দেশেজুড়ে নির্বাচনের আগে ‘শ্যাডো ওয়ার’-এর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।” অভিযোগের সুর চড়িয়ে নেত্রী বললেন,পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় এক কথায় দেশ শোকস্তব্ধ। সকলেই এই প্রেক্ষিতে কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।

এভাবেই সকলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করছে। অথচ এরকম একটি ভয়ানক জঙ্গি হামলাকে নিয়েও বিভিন্ন জনসভায় রাজনীতি করছে ছাড়ছেন না মোদী-শাহ। ক্ষেপে গিয়ে নেত্রী বললেন, ‘ভেবেছিলাম এই নিয়ে কিছুই বলব না, কিন্তু অনেক চেপে রেখেও পারালাম না , শেষে বাধ্য হলাম মুখ খুলতে।’

পাশাপাশি তিনি আরো জানালেন,পুলওয়ামা ঘটনার পর মোদী-শাহ যা করছেন তা এককথায় অতিনাটকীয়তা। তাঁরা এমন ভাব দেখাচ্ছেন যে তাঁরাই একমাত্র দেশ প্রেমিক। বাকি সব বিদেশি। বাকিদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই।

নেত্রী এদিন অভিযোগ তুলে বলেন,পুলওয়ামা নিয়ে দেশজুড়ে অহেতুক একটা ‘শ্যাডো ওয়ার’-এর পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি সরকার। এই যুদ্ধকালীন আবহ তৈরির জন্যে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ-দের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন নেত্রী। এই প্রেক্ষিতে নেত্রী মোদী-শাহকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করেন,’পাঠানকোট, উরি হামলার সময় এমন গণ উন্মাদনা দেখা গেল না কেন?

কেন সেই সময় এখনকার মতো সরব ছিলেন না মোদী,অমিত শাহ?’ নেত্রীর মতে,আসলে মোদী সরকার লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এরকম পরিস্থিতি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তৈরি করছে। ইচ্ছে করে গণ উন্মাদনা তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপি বরাবরই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেজন্যেই জনগণের মনকে উস্কে দিয়ে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে গেরুয়াশিবির। এমনটাই অভিযোগ নেত্রীর। তবে তিনি হুঁসিয়ারী দিয়ে বলেন,ধর্মীয় উসকানি,ভুয়ো খবর এবং জাতি বিদ্বেষকে যারা হাওয়া দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে নেত্রী নয়া তথ্য সামনে রেখে নতুন বিতর্ককে উস্কে দেন। বলেন,লোকসভা ভোটের আগে দেশে যে এরকম দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হবে,তা আঁচ আগেই পেয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দারা।

এবং তাঁরা এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও পেশ করে। সেই রিপোর্ট যে কতোটা সত্য তা দেশের বর্তমান অবস্থা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন মোদী-শাহ। এরপর ক্ষিপ্ত নেত্রী গর্জে উঠে প্রশ্ন করেন,’এতই যদি চিন্তা,তাহলে ২৫০০ জন জওয়ানকে গাড়িতে করে পাঠানোর কী দরকার ছিল? কেন তাদের এয়ার লিফট করা হলো না?’

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের মন্তব্যকে কড়াভাবে সমালোচনা করেন রাজ্য বিজেপও সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অযৌক্তিক মন্তব্য করেছেন বলেই দাবী করেন দিলীপ বাবু। পাল্টা কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তোলেন,’দেশপ্রেমে কেন ওনার এত গায়ে লাগছে? আসলে এখন প্রমাণ দিতে হবে তিনি কোন পক্ষে আছেন।’

পুলওয়ামার মতো সাম্প্রতিক কালের সবথেকে ভয়ানক জঙ্গী হামলার প্রেক্ষিতে একদিকে দেশ যখন বাকরুদ্ধ তখনও বিজেপি-তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে পিছপা হল না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে প্রতিপক্ষরা,এমনটাই অভিমত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!