কখনও গুড় বাতাসা তো কখনো বা চড়াম চড়াম ঢাকের শব্দ, আবার কখনও বা পাচনের বাড়ি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন নির্বাচনের আগে বিতর্কের শিরোনামে চলে এসেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাপটে বিরোধীরা সেই বীরভূম জেলায় কার্যত ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকেন বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন সেই বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা।

এতদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় অনুব্রত মণ্ডল বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়ালেও সেইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কিছু বলতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এবারে সেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সুর চড়ালেন তিনি।

সূত্রের খবর, আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের ক্লাবগুলোকে আয়কর দপ্তরের পাঠানো চিঠি সম্পর্কে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে তীব্র তোপ দাগেন তিনি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এ কেমন প্রধানমন্ত্রী! যিনি রাজ্যের 400 পুজো কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন! আমরা মাকে আরাধনা করি। কেউ এমনটা করতে পারে? প্রধানমন্ত্রী পুজো বন্ধ করে দিতে চাইছেন। এরপর তো বলবে মহরমের তাজিয়া বের করা হলো কেন! বাংলার মানুষ এটা ভালোভাবে মেনে নিচ্ছে না।”

আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আয়কর দপ্তরের চিঠি রাজ্যের সিংহভাগ পুজো কমিটিগুলোকে পাঠানোয় এর বিরুদ্ধে 167 টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরের বিশাল মিছিল বের করা হবে বলেও জানান জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এদিকে সম্প্রতি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে 2019 সালে এই জায়গায় তৃণমূলের পরবর্তী সংসদ প্রার্থী কে হবেন? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বলেন, “নতুন মুখ আনা হবে। কে হবেন তা এখনও স্থির হয়নি।”

অন্যদিকে আগামী 19 শে জানুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশে বীরভূম, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ থেকে বহু মানুষ যাবেন বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন অনুব্রত মণ্ডল। সব মিলিয়ে এবার একদিকে বিজেপিকে আক্রমণ আর অন্যদিকে আগামী 19 শে জানুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সভাপতি।