এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভারতের ‘মৃতপ্রায়’ অর্থনীতিকে কিভাবে ‘সঞ্জীবনী’ দিয়েছেন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ভারতের ‘মৃতপ্রায়’ অর্থনীতিকে কিভাবে ‘সঞ্জীবনী’ দিয়েছেন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই কম – বেশি দলীয় প্রচারকার্য শুরু করেছে। এমত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনো রকম সৌজন্যের বালাই না রেখে সরাসরি আক্রমন করলেন দেশের প্রাক্তন উইপিএ জোট সরকার কে। এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যেই বললেন ভারতীয় অর্থনীতি হত্যার নেপথ্যে ছিলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’র সরকার। আর দেশের বর্তমান এনডিএ জোট সরকার সেই মৃত প্রায় অর্থনীতিকে সঞ্জীবনী দিয়েছে। প্রসঙ্গতঃ জিএসটি চালু হওয়ার পর বছর না ঘুরতেই এক সাক্ষাৎকারে মোদী বলেছিলেন, “২০১৪ সালে বিজেপির প্রচারের অন্যতম দিক ছিল এক অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী ও এক সবজান্তা অর্থমন্ত্রীর আমলে ভারতীয় অর্থনীতির অব্যবস্থা। সবাই জানত ভারতের অর্থনীতি মৃতপ্রায়।” প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে বিজেপি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাতেই পারতো কিন্তু দেশের স্বার্থেই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা জলঘোলা করেননি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কারণ সেসময় একাধিক শিল্প দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। এমনকি ‘ব্রিকস’ সদস্যরাও এক প্রকার আন্দাজ করছিলেন যে ভারতের পতন ঘটতে চলেছে। দেশের মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় শ্বেতপত্র প্রকাশ হলে দেশের সমস্যা হ্রাস প্রাপ্তির পরিবর্তে বৃদ্ধি পেত। প্রধানমন্ত্রীর দাবি বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। ভারতীয় অর্থনীতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বড় অর্থনীতি। বর্তমান সময়ের নিরিখে ভারতে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ স্বাধীনতার পর থেকে সর্বাধিক। জিএসটি কর ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক সংস্কার এনেছে। এত সাফল্য সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে বলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদী সরকার। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অভিমত ‘কর্মসংস্থানের অভাব নেই, অভাব আছে কর্মসংস্থান বিষয়ে তথ্যের’। তাঁর মতে এখন অবধি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের হিসেব করা হয়। কিন্তু এতে শুধু অস্থায়ী পদের কর্মসংস্তানের তথ্যই পাওয়া যায়। স্থায়ী পদের কর্ম সংস্থানের কোনো খবরই এখানে থাকেনা। এই বিষয় সংশোধনের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ দেশের প্রচলিত কর্মসংস্থানের হিসেব নেওয়ার পদ্ধতি আগে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ নতুন ভারতের নতুন অর্থনীতিতে নতুন ধরনের চাকরির ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!