আজ নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় বড় ধামাকা? বিজেপিতে যোগ কি একাধিক হেভিওয়েট বিধায়কের? জল্পনা তুঙ্গে জাতীয় রাজ্য April 24, 2019 তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, শাসকদলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছেন। অন্যদিকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় থেকে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসু দাবি করেছিলেন আগামী ২৩ শে মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে গেলেই বাংলায় রাজ্য সরকারের পতন হবে – কেননা সেদিনই তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে অন্তত ১০০ জন বিধায়ক রাজ্যপালের হাতে নিজেদের পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন। যদিও বিজেপির এই সব দাবিকে এতদিন ‘গিমিক’ বলেই দাবি করে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতাদের মতে – ২৩ শে মে ভোটের ফলাফল বেরোলে দেখা যাবে, বিজেপি সারা দেশে ১০০ টি আসনও পায় নি। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা থেকে ৪২ এ ৪২ করে, দিল্লিতে পরবর্তী সরকার তৈরী করতে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে। তাই , দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত হতে পারে! কিন্তু, বোধহয় রাজ্যের শাসকদলের সেই দাবি আর ধোপে টিকছে না! কেননা, গোপন সূত্রের খবর অনুযায়ী আজ ২৪ এপ্রিল রানাঘাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বড় ‘ধামাকা’ দিতে চলেছে বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ওই সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেদিন অন্তত ৪ জন হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হাতে বিজেপির পতাকা তুলে নেবেন। সব থেকে বড় ব্যাপার ওই চার জন বিধায়কই নাকি শাসকদলের ‘গড়’ বলে খ্যাত উত্তর ২৪ পরগনার। এই চারজনের মধ্যে দুজন এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা ‘ডিসিশন মেকারের’ নিকটাত্মীয় । অপর একজন বিজেপিতে সদ্য যোগ দেওয়া এক হেভিওয়েট নেতার নিকটাত্মীয়। আর চতুর্থ জনের নাম – বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচনের আগে থেকেই বাতাসে ভাসছিল – এমনকি শোনা যাচ্ছিল, কলকাতা সংলগ্ন কোনো এক কেন্দ্র থেকে তাঁকে নাকি বিজেপি প্রার্থীও করতে পারে।আর, এই জল্পনা সামনে আসতেই কার্যত তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কেননা, কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করেছিলেন শাসকদলের একাধিক বিধায়ক ও নেতা ‘পাঁচিলের উপর’ বসে আছেন, ২৩ শে ফলাফল বেরোলেই, শাসকদলের পরাজয় নিশ্চিত হলেই নাকি এঁরা দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করবেন। কিন্তু, রাজনীতির কারবারিরা ‘হাওয়া-বদলের’ আভাস আগেই পেয়ে যান! ফলে, এইসব হেভিওয়েট বিধায়করা লোকসভার ফলাফলের অপেক্ষা না করেই যখন ‘জাহাজ ছেড়ে পালানোর’ পথে তাহলে কি শাসকদলের ‘জাহাজডুবি’ হতে চলেছে? এই প্রশ্নটাই কিন্তু তোলপাড় করে দিচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সবমিলিয়ে নির্বাচনের মাঝেই নতুন করে দলবদলের হাওয়াই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আজ তাই রাজ্য রাজনীতির নজর মোদির সভার দিকে। আপনার মতামত জানান -