প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে অশালীন মন্তব্য মন্ত্রীর জাতীয় রাজ্য July 17, 2018 এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানাতে শালীনতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করতে দেখা গেলো রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে বিরোধী রাজনৈতিকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে সংযমটাই ভুলে গেলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। ২১ জুলাই-এর তৃণমূলের মহা জনসমাবেশের প্রস্তুতিতেতে চেতলায় পথসভা ছিল এদিন। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই তোপ দেগে বলেন, ” বাংলায় কোনো সিন্ডিকেট রাজ নেই। এখানে মানুষ নিজের অধিকারে বাঁচেন।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। প্রসঙ্গত,সোমবার মেদিনীপুরের বুকে কৃষক সমাজের একাধিক ইস্যু নিয়ে জনসভা করেছিলেন মোদীজি। সেই সভাতেই বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ নিয়েই সরাসরি রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেন তিনি। এবং রাজ্য থেকে ঘাসফুলের সমূলে উৎপাটনের বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী রাজ্য বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে। এরপরই মারমুখী ভূমিকায় দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরাসরি মোদীজিকে তো আক্রমণ করলেনই,তারপর বিজেপি কর্মীদেরও নিস্তার দিলেন না। অশালীন ভাষার প্রয়োগে পদ্মবাহিনীকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন। মেদিনীপুরের সভা থেকে ফেরার সময় পুলিশের উপর বিজেপি কর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা করলেন তিনি। এর জেরেই অশালীন ভাষা প্রয়োগ করতেও পিছপা হলেন না তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। জানালেন,যাঁদের নাকি অন্য রাজনৈতিক দলে ঠাই মেলে না,তাঁরাই বিজেপি দলের টিকিট কাটেন। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে রীতিমতো বির্তক শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি সহ জাতীয় স্তরে। তবে জানা গেছে,প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসকদল বিরোধী মন্তব্যের পর পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে মোদীজির বক্তব্যের বিরোধীতায় বিবৃতি জারি করা হয়। আপনার মতামত জানান -