এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আজ থেকে রাজধানীর আঙিনায় নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী প্রধান মুখ হওয়ার লড়াই শুরু তৃণমূল নেত্রীর

আজ থেকে রাজধানীর আঙিনায় নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী প্রধান মুখ হওয়ার লড়াই শুরু তৃণমূল নেত্রীর


জাতীয় স্তরের বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে এবার ধরনায় বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের একবার সোচ্চার হতেই তাঁর এই ধরনা মঞ্চে যোগদান। কিছুদিন আগেই সারদা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে কোলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদ করতে ৩ দিন ধরনা মঞ্চে বসেছিলেন তিনি।

ফের একবার ধরনাকেই মোদীসরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন নেত্রী। আগামী ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বুকে মোদী বিরোধী ঝড় তুলতে ধরনায় বসতে চলেছেন কট্টর বিজেপি বিরোধী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিল্লির অন্ধ্রপ্রদেশ ভবনে আগে থেকেই ধরনা মঞ্চে একপ্রকার মহড়া করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।

অন্ধ্রপ্রদেশো স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণার দাবীকে সামনে রেখে তাঁর এই অবস্থান বিক্ষোভে একে একে সমর্থন করেছেন অবিজেপি নেতৃবর্গ। রাহুল গান্ধী, মনমোহন সিং, আহমেদ প্যাটেল, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদব থেকে শুরু করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে’র তিরুচি শিবার মতো মোদি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা একে একে অবশন মঞ্চে এলেন।

তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান। চন্দ্রবাবু নাইডুর বক্তব্য,তাঁর ধরনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন মোদী বিরোধী জেহাদকে আরো মজবুত করল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনায় জাতীয় স্তরের বহু নেতাকে দেখা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এছাড়াও কংগ্রেস,এনসিপি, টিডিপি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বসপার প্রতিনিধিরাও যোগ দিতে পারেন মমতার ধর্না মঞ্চে।

লোকসভা ভোটের মুখে ধরনা মঞ্চে ফের বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বদের একত্রে অবস্থানকে মহাজোটের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এই মঞ্চ থেকেই ফের মোদীবিরোধী সুর চড়া করবেন বাংলার নেত্রী। যন্তরমন্তরের ধর্না ছাড়াও বিরোধী নেতাদের একটা স্ট্র্যাটেজি বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

এছাড়া আগামীকাল সকালে সংসদ লাগোয়া এলাকায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মোদী বিরোধী বিক্ষোভ করার কথা রয়েছে তৃণমূলের। চন্দ্রবাবু নাইডুর পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বললেন,নেত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে মোদী বিরোধীতা করতে হয়। কোলকাতা পুলিশ কাণ্ডে নেত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাঁর সাহসের নমুনা দেখিয়ে দিয়েছেন।

যা অন্য কেউ পারেননি,যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার অহেতুক হস্তক্ষেপ করলে পরিমান কী হতে পারে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর এই সাহসকে স্যালুট জানাতে ভুললেন না কেজরিওয়াল।

উল্লেখ্য,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের মধ্যমণি তা বলাবাহুল্য। চন্দ্রবাবু নাইডুর ধর্নামঞ্চের শ্লোগানও হয়ে উঠল মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের শব্দে,’মোদী হটাও দেশ বাঁচাও’। তৃণমূল বিধায়ক ডেরেক ও’ব্রায়ান যখন নেত্রীর শ্লোগান নিয়েই হিন্দিতে ভাষণ দিলেন তখন করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠল রাজধানী চত্বর।

কাজেই আগামীকালের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধী কর্মসূচি কতোটা সফল হতে চলেছে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে আগে থেকেই। এখন ধর্নামঞ্চ থেকে নেত্রী মোদী বিরোধী সুর কতোটা চড়া করেন তা নিয়েই ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!