এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদি জমানায় গবেষণা করতে জিএসটি! বিশ্ববিদ্যালয়কে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ!

মোদি জমানায় গবেষণা করতে জিএসটি! বিশ্ববিদ্যালয়কে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ!

এসটি নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্র কে কটাক্ষ করে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মন্দার পেছনে যে এই জিএসটির ভূমিকা রয়েছে তা বলেও বারে বারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। এবারে সেই বিতর্কিত জিএসটি কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণার ক্ষেত্রেও বসাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।

জানা গেছে, ঐতিহ্যমন্ডিত রাজ্যের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে যে টাকা আয় করে তার ওপর প্রায় 4 কোটি টাকা জিএসটি চেয়েছে কর কর্তৃপক্ষ। আর যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বনাম জিএসটি কর্তৃপক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র টানাপোড়েন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ঠিক কোন কোন খাতে এই টাকা চেয়েছে জিএসটির কর কর্তৃপক্ষ?

সূত্রের খবর, 2012-13 থেকে 2016-17 শিক্ষাবর্ষের পরিষেবার ওপর বিভিন্ন খাতে এই কর চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বিভিন্ন হল এবং ভবনের ভাড়া বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আয় হয় তার উপর জিএসটি চাপানো এমনকি সিএবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের যে মাঠ দেখাশোনা এবং ব্যবহার করে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপরও চাপানো হয়েছে এই জিএসটি।

পাশাপাশি ডে কেয়ার সেন্টার, শংসাপত্র যাচাই, পেটেন্ট, এমনকি কর্মী আবাসনের ভাড়া থেকেও যে আয় হয় তার উপর জিএসটি বসাতে চাইছেন কেন্দ্র। তবে সব থেকে বেশি জিএসটি চাপানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের ওপর। আর এখানে চরম ক্ষুব্ধ অনেকেই।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

এদিন এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “গবেষকরা পরিশ্রম করে গবেষণা প্রকল্প এনে গবেষণা চালান। তার ওপর এইভাবে কর চাওয়া দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।” অন্যদিকে এখনো এই জিএসটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইনি পরামর্শ নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্টার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সব মিলিয়ে এখন জিএসটি কর্তৃপক্ষের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পের টাকা চাওয়ায় ঠিক কি উত্তর দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!