এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আদিবাসী ভোট কি এবার ঘুম ওড়াতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর? জল্পনা চরমে

আদিবাসী ভোট কি এবার ঘুম ওড়াতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর? জল্পনা চরমে


গুজরাটে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ে লোকসভা ভোটের আগেই চমক দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনায় বাঁধ সাধছে ওই অঞ্চলের আদিবাসীরা। প্রথম থেকেই ২০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে এই মূর্তি গড়ার বিপক্ষে ছিল নর্মদা বাঁধ সংলগ্ন এলাকার আদিবাসীরা। তাঁদের বারণ সত্ত্বেও চার বছরের পরিশ্রমে নির্মান কার্যটি বর্তমানে শেষের পথে।

আগামী ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩ তম জন্মদিনেই উদ্বোধণ করা হবে বিশ্বে রেকর্ড করা লৌহমানবের মূর্তিটি। উদ্বোধনের দায়িত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত থাকবেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। আর এই উদ্বোধনের আগেই মূর্তিটি নির্মানের বিরোধীতাকে আরো প্রবল করার ইঙ্গিত দিল আদিবাসী সমাজ।

বিক্ষোভ আন্দোলনে ছেঁড়া হল প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার। প্রায় সিংহভাগ পোস্টারই ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই প্রতিকূল যে পুলিশি পাহারায় নতুন করে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার লাগাচ্ছে বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা। এলাকায় কড়াভাবে চলছে পুলিশি টহলদারি।

কেন বল্লভভাই প্যাটেলের মতো গুজরাতে একজন বিখ্যাত মানুষের মূর্তি গড়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ আদিবাসী সমাজ? খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া এই মূর্তিটি ছিনিয়ে নিতে চলেছে বিশ্বের সবথেকে উঁচু মূর্তির শিরোপা। তাও একসময়ের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী তথা অধুনা প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে। এতো বড় গর্বের কথা গুজরাট বাসীর জন্য। তাহলে আপত্তির কারণ কী?

গুজরাতের মহান ব্যক্তিত্ব বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি হচ্ছে বলে কোনো বিরোধ করছেন না তাঁরা। তাঁদের বিরোধ অন্য জায়গায়। আসলে এতোটা জায়গা জুড়ে মূর্তি নির্মান নিয়েই আপত্তি তাঁদের। এতে আদিবাসীদের জীবন এবং জীবিকা বিপন্ন হয়েছে বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন আদিবাসী সমাজ।

ভদোদারা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ একটা জায়গা নির্বাচন করেছে মোদীসরকার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি নির্মান করার জন্য। এর জেরে জীবন সংকটে পড়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৭৫ হাজার আদিবাসীর। নেতিবাচক প্রভাব পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ন’টি জেলার ৭৫ টি গ্রামে। কর্মসংস্থানের পথটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিজেপি সরকারের এই বিশ্বসেরা খেতাব জয়ের লালসায়। এমনটাই দাবী করলেন এক আদিবাসী নেতা।

আদিবাসী সমাজ বিজেপি সরকারের উপর কতোটা ক্ষেপে রয়েছে,তার প্রমাণ পাওয়া গেল এদিন। প্রধানমন্ত্রী এবং গুজরাতের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ৯০% পোস্টারই ছিঁড়ে ফেলল তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে। তাঁদের ক্ষোভ দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছে প্রশাসন। পুলিশি নজরদারিতে ফের পোস্টার লাগানোর কাজ সম্পন্ন করতে হল। এতোটাই বাজে পরিস্থিতি। এই অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করতে ভুললেন না ওই আদিবাসী নেতা। জানালেন,”বিশ্বে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার রক্ষার্থে পুলিশকে পাহারায় বসতে হয়েছে।”

নিজেদের মূর্তি বিরোধী অবস্থানকে আরো জোড়দার করতে আগামী ৩১ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে বনধ করার সম্ভাবনা রয়েছে ছোট-বড় শ’খানেক আদিবাসী সম্প্রদায়ের। রয়েছে উপবাসেরও পরিকল্পনা। আর এভাবে যদি গুজরাতে আদিবাসী সমাজ বিজেপি বিরোধীতায় পথে নামে,তাহলে তা রুখতে বেশ বেগ পেতে হবে গেরুয়াশিবিরের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 

বিজেপির ভাবমূর্তি তো নষ্ট হবেই,পাশাপাশি আদিবাসীদের সমর্থনে বিজেপি বিরোধীতায় এগিয়ে আসবে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলো। মোদী বিরোধীতার ঝড় উঠে যাবে গোটা দেশে। আদিবাসীরা যে সহানুভূতিশীল কারণকে সামনে রেখে বিরোধ করছে,লোকসভা ভোটের আগে সেটাকেই রাতারাতি ইস্যু করে ‘মোদী হটাও দেশ বাঁচাও’ শ্লোগানকে জোড়দার করার সুবর্ণ সু্যোগকে হাতছাড়া করবে না কট্টর বিজেপি বিরোধী তৃণমূল-কংগ্রেস-সপা-বসপারা। এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!