উপনির্বাচনে হারের জেরে ২০১৯-এর কৌশল রচনায় নতুন করে বসছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জাতীয় June 3, 2018 সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন বিধানসভা নির্বাচন , উপ নির্বাচনে বিজেপি দলের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। শুধ তাই নয় একইসাথে নতুন আসনে জয়লাভের কোন দৃষ্টান্ত নেই বরং বিজিত আসন ও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা ক্রমশ নিক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইতিবাচক ভূমিকা। এদিক উত্তর প্রদেশের কৈরানা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে গত বারের বিজিত আসনে বিজেপির পরাজয়ের পরে উত্তরপ্রদেশর সাংসদ তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বললেন, “বড় লাফ দেওয়ার জন্য দু’পা পিছিয়ে আসতেই হয়।” দলের একাংশের মতে দলের আত্মসমীক্ষার যে প্রয়োজন রয়েছে, এ কথা বলে সেই বিষয়টি উস্কে দিতে চেয়েছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিকে দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের দাবি, ”উপনির্বাচনে লোকে স্থানীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই ভোট দেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে দেখা হয় না।” দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন বিজেপি বিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে । এই পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে গত চার বছরে সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে যা কাজ করেছে, তা সঠিক ভাবে তুলে ধরতে হবে বলে মনে করছে অমিত শাহের অনুগামী শিবির। তাদের মতে এই উপায়ে অতি সহজেই লোকসভা নির্বাচনে এই যাত্রায় বিজেপি দল সাফল্য পেতে পারবে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্য অংশের মতে গ্রামীণ এলাকার মানুষের ক্ষোভ নিরসন বা দলিত সমাজের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ দল। কৃষক সমাজের ঋণ মকুব না হলেও, কী ভাবে নীরব মোদী-বিজয় মাল্যদের ঋণ মকুব করা হয়েছে তা নিয়ে বিরোধীদের সফল প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা বললেন, ”মানুষের মূল সমস্যার সমাধান না করে শুধু প্রচারে উজ্জ্বল ভারতের স্বপ্ন তুলে ধরলে ফের শাইনিং ইন্ডিয়ার মতো বিপর্যয় হবে।” আপনার মতামত জানান -