প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের মধ্যে অন্যতম টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবছর বিশ্বের সবথেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একটি তালিকা এই ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়। সিনেমা থেকে শুরু করে রাজনীতি, জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা, সমগ্র ক্ষেত্রে কারা কারা গর্বের সঙ্গে বিচরণ করেছেন, তাদের তালিকা পেশ করে এই সংস্থা। স্বাভাবিক ভাবেই করোনা ভাইরাসের সংকটকালে টাইম ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। কারা কারা এই তালিকায় স্থান পাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অবশেষে প্রকাশিত হল সেই তালিকা। সেখানে গর্বের সহকারে জায়গা করে নিলেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সূত্রের খবর, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে এবার টাইমস ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী। তবে শুধু নরেন্দ্র মোদি নন, তার পাশাপাশি সেখানে জায়গা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেন, কমলা হ্যারিস, অ্যাঞ্জেলা মের্কেল এবং শি জিনপিং। আর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ভারতের থেকে একমাত্র টাইমস ম্যাগাজিনে রাজনৈতিক আঙিনা থেকে জায়গা করে নেওয়ায় রীতিমতো খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। বস্তুত, এই প্রথম নয়। এর আগেও চার চারবার এই তালিকায় নাম উঠেছে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। 2014 সাল, 15 সাল, 17 সালের পর এবার 2020 সালেও টাইমস ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিলেন ভারতবর্ষের রাষ্ট্রনায়ক।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টাইমস ম্যাগাজিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাদের তালিকাতেই শুধু জায়গা দেয়নি। মোদির বিষয়ে নানা কথাও লিখেছে সেই সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গণতন্ত্রে সেই সব থেকে বড় যে, সবথেকে বেশি ভোট পায়। ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসে। এরপর অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। গণতন্ত্রের অনেক দিক রয়েছে। যেখানে বিজয়ী নেতাদের বিপক্ষে যারা ভোট দিয়েছে, তাদের অধিকার নিয়েও কথা হয়। ভারতবর্ষ বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ এবং এখানে প্রতিটি ধর্মের লোক বাস করে।”

একাংশ বলছেন, প্রায় নানা বিষয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বর্তমানে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। ধর্মীয় হানাহানি থেকে শুরু করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা, এমনকি কৃষক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছে সংসদে। আর এই পরিস্থিতিতে টাইমস মাগাজিনে ভারতবর্ষের রাজনীতির আঙিনা থেকে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী জায়গা করে নেওয়ায় বিজেপি অনেকটাই উজ্জীবিত হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, এর ফলে মোদিকে উদ্দেশ্য করে বিরোধীদের কটাক্ষ অতটা ঢোপে টিকবে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের।