সশস্ত্র জঙ্গি যদি দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে কি সেনা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে? বিরোধীদের জিজ্ঞাসা মোদির জাতীয় May 13, 2019 গত 14 ই ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠনের পক্ষ থেকে চালানো নৃশংস হামলায় ভারতের 42 জন সেনা নিহত হওয়ার পরই পাল্টা ভারতের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পরই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, লোকসভা ভোটের আগে দেশবাসীর আবেগকে উস্কে দিয়ে সিমপ্যাথির মধ্যে দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি সরকার। এমনকি পাকিস্তানের মাটিতে আদৌ ভারতের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূলের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। তবে লোকসভা ভোটের দামামা বাজার দিনই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ভোটের মরসুমে যেন সেই সেনাদের নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল কোন মন্তব্য না করে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এহেন ঘোষণার পরও বিরোধীরা বারেবারেই অভিযোগ তুলেছে যে, কেন্দ্রের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা কখনো “মোদি কি সেনা” আবার কখনও বা পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার পেছনে তাদেরই কৃতিত্ব রয়েছে বলে দাবি করে নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে লংঘন করেছেন। আর এবার দেশজুড়ে যখন ষষ্ঠদশ লোকসভা ভোট চলছে, ঠিক তখনই সেই সেনাদের নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর রবিবার ষষ্ঠ দফার ভোটের দিনই জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানের সতীপোরা এলাকায় সেনার গুলিতে 2 লস্কর জঙ্গি নিকেশ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর এই ঘটনার পরই এদিন উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের একটি নির্বাচনী সভা থেকে বিরোধীদেরকে খোঁচা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কিছু মানুষ হয়ত এর পরও বলবেন যে কেন নির্বাচনের সময় জঙ্গী হত্যা করা হল? অনেকে আবার বলতে পারেন যে, ভোটের দিনই কেন জঙ্গি’ মারা হল? আমি তাদের প্রশ্ন করি, সামনে যদি সশস্ত্র জঙ্গী দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে কি সেনা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে!” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলওয়ামায় নৃশংস জঙ্গি হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে যখন পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, ঠিক তখনই বিরোধীদের তরফে ভোটের মরসুমে এইরকম কাজ করে মোদি সরকার মানুষের সিমপ্যাথী নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বলে দাবি করা হয়েছিল। যা নিয়ে বিরোধীদের একাংশ সমালোচনার মুখেও পড়েছিল। আর এবার ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন সেই সেনার গুলিতে 2 লস্কর জঙ্গি নিকেশ হলে বিরোধীরা আর যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে তার জন্য আগেভাগেই সশস্ত্র জঙ্গী দাঁড়িয়ে থাকলে সেনাবাহিনী যে কোনোমতেই রেয়াত করবে না সেই কথা জানিয়ে দিয়ে বিরোধীদেরকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -