লোকসভায় তৃণমূলের হারের পিছনে “মোদী ভূত”! বিস্ফোরক দাবি হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য December 4, 2019 বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে 42 এ 42 টি আসন পাওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশে দেখা গিয়েছিল, মোটে 22 টি আসুন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। অন্যদিকে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টা আসন নিজেদের দখলে রেখেছে। আর সাংগঠনিক শক্তি না থাকা সত্ত্বেও বিজেপির মত রাজনৈতিক দল কিভাবে 18 টা আসন পেয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলল! তা নিয়ে নানা পর্যালোচনা করেছে রাজ্যের শাসক দল। যেখানে দলীয় নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতি থেকে শুরু করে, মানুষের সঙ্গে না মেশার কারনকেই দায়ী করা হয়েছে। তবে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই তৃণমূলকে চাপে ফেলে বিজেপি লোকসভা কেন্দ্র দখল করলেও, বীরভূম জেলায় একটি লোকসভাও তারা দখল করতে পারেনি। অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম এবং বোলপুর দুটি লোকসভা কেন্দ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিয়েছে। তবে বিজেপি লোকসভা কেন্দ্র দখল না করলেও, পৌরসভা এলাকা এবং পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতে তাদের ভোট বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মত। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে। আর এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের পর বর্তমানে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করা শুরু করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিভাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্স ফেরানো যাবে, তা নিয়ে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করছেন তিনি। সূত্রের খবর, সোমবার বোলপুর বিধানসভার বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিগত লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর পৌরসভার সমস্ত ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থী কেন পিছিয়ে গেলেন! তা নিয়ে এদিন বোলপুরের চেয়ারম্যান সুশান্ত ভকতকে প্রশ্ন করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কেন এমনটা হল! কেন পুরসভা এলাকায় শোচনীয় ফলাফল?” তখন বোলপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, “লোকসভা ভোটের সময় মানুষের মাথায় মোদী ভূত ভর করেছিল। এখন আর সেই ভূত নেই। সবার মাথা থেকে মোদী ভূত নেমে গিয়েছে। এখন ভোট হলে 15 থেকে 16 হাজার ভোটে লিড পাবে তৃণমূল।” বিশ্লেষকরা বলছেন, বোলপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান ভূতের কথা বলতে গিয়ে মোদি হওয়ার কথা বলেছেন। আর তাই জেলা তৃণমূল সভাপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে ভোট কমার কারণ হিসেবে তিনি সেই মোদি ভুতকেই দায়ী করলেন। এদিকে এদিনের এই কর্মী সম্মেলন থেকে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দূর্নীতি না করার নিদান দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “গরিবদের জন্য থানায় অভিযোগ জানিয়ে আমার কাছে আসুন। মুখের কথায় মানব না। থানায় অভিযোগ জানিয়ে আসতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এইসব কাজ যারা করছে, তাদের পিটিয়ে সোজা করে দেব। যারা দলের মধ্যে থেকে গ্রুপবাজি করে, তাদের দলে থাকতে হবে না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভায় দুটি আসন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলেও যেভাবে পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকায় তৃণমূলে ভোট কমেছে, তা চিন্তার কারণ অনুব্রত মন্ডলের কাছে। আর তাই তো বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে এখন থেকেই সংগঠনকে চাঙ্গা করার নিদান দিচ্ছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। আপনার মতামত জানান -