মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়ে ‘ল্যাজে-গোবরে’ হতে হল বিরোধীদের – জানুন বিস্তারিত জাতীয় বিশেষ খবর March 29, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে পুরোদমে – একদিকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তো অন্যদিকে সম্মিলিত বিরোধীদের মহাজোট, যদিও তা সারা ভারত জুড়ে দিব্যমান নয়, কোথাও কোথাও প্রস্ফুটিত। কিন্তু ঘটনা যাই হোক, বিরোধীদের দাবি মানুষ নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে চলে গেছে আর তাই বিরোধীদের ভয় পেতে শুরু করেছে। ফলে, কিছুদিন আগে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের সাফল্য নিজের সাফল্য বলে প্রচার করে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাই, বিরোধীরা বিন্দুমাত্র দেরি না করেই সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিতে শুরু করেন। অনেকেই তো আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি অভিযোগ করে বসেন নির্বাচন কমিশনে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার হঠাৎই সকালের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে জানান, দুপুর পৌনে বারোটা থেকে তিনি টেলিভিশন, রেডিও ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের জন্য এক বিশেষ বার্তা নিয়ে হাজির হবেন। তাঁর এই ঘোষণার ফলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে – কেননা এর আগে এরকম আগাম ঘোষণা করে নোটবন্দীর মত বড়সড় ঘোষণা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে জানান, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অনন্য কৃতিত্বের জন্য আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত অত্যাধুনিক জটিল প্রযুক্তির ‘স্যাটেলাইট কিলার’ ‘এ স্যাট’ মিসাইলের সফল উত্ক্ষেপণ করতে সফল হয়েছে। অর্থাৎ, এখন মহাকাশ যুদ্ধেও ভারত বড়সড় জায়গা দখল করে ফেলল – মটর তিন মিনিটের মধ্যে ৩০০ কিলোমিটার দূরের শত্রুর স্যাটেলাইট মহাকাশে গিয়ে ভেঙে-গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এখন ভারত। ‘মিশন শক্তি’ নামে এই বিশাল ঘোষণার পরেই পাকিস্তান প্রতিবাদ জানালেও, চীন সংযত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া – এমনকি মহাকাশে সামরিকীকরণ রুখতে ভারত-চিন-রাশিয়ার মধ্যে চুক্তির প্রস্তাবও এসেছে রাশিয়ার তরফ থেকে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করে, ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের অভিনন্দন বার্তা জানানোর সাথে সাথে ট্যুইট করে তৃণমূল কংগ্র্বস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জরুরি ভিত্তিতে এমন ঘোষণা করার দরকার ছিল না। নিজের ভোটতরী ডুবছে, বুঝতে পেরে এই পদক্ষেপ। বিজ্ঞানীদের সাফল্যের ফায়দা তোলার চেষ্টা। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করছি। এমনকি সিপিআইয়ের ডি রাজাও জানান, এক্ষেত্রে যাবতীয় কৃতিত্ব বিজ্ঞানীদের। একে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করছে বিজেপি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উপলব্ধিকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী বলে অভিযোগ উঠে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু থাকাকালীন এমন ঘোষণা কীভাবে করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু আজ নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, জাতির উদ্দেশে ভাষণে কোথাও ভোটপ্রচার বা দলের কথা উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি খারিজ করে আজ নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, কোনওভাবেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে, এই সাফল্য জাতির উদ্দেশ্যে জানানোর জন্যও বিরোধীদের এইভাবে নির্বাচন কমিশনে যাওয়াকে নির্বাচনী প্রচারে অস্ত্র করতে পারে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -