এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ধীরে ধীরে রেলকেও বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার! নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝড় বিরোধীদের

ধীরে ধীরে রেলকেও বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার! নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝড় বিরোধীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 সালে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকার দেশের সমস্ত ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি বাস্তবে বিজেপির নানা উদ্যোগ বিরোধীদের সেই প্রশ্নতে সীলমোহর দিয়েছে। আশঙ্কা ছিল অনেক আগে থেকেই। আর এবার সেই আশঙ্কাই কি বাস্তব হতে চলেছে?

সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই 151 টি ট্রেন তুলে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের 15 টি রুটের দূরপাল্লার ট্রেন। আর দেশের সবথেকে বড় সম্পদ রেলকে এভাবে বেসরকারিকরণ করে দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হয়েছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে 151 টি ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নীতি আয়োগ। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার কেন এভাবে রেলকে বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হচ্ছে? বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে প্রত্যেক যাত্রী পিছু প্রতি কিলোমিটারে 43 পয়সা ভর্তুকি দিতে হয়।

কিন্তু বেসরকারি হাতে যাওয়ায় ভর্তুকির কোনো সুবিধে থাকবে না। টিকিটের প্রকৃত দাম এবং বেসরকারি সংস্থার লাভ, দুই মিলিয়ে টিকিটের যা দাম হবে, তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, যদি ভর্তুকি বেসরকারি সংস্থার ট্রেনের ভাড়া বিমানের ভাড়ার থেকেও বেশি হয়ে যায়, তাহলে মানুষ কিভাবে ট্রেনে চাপবে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “যা কেড়ে নেওয়ার নাও, কিন্তু মনে রেখো, জনতা এর জবাব দেবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “যখন দেশের মানুষ আর্থিক সংকটে, তখন রেলের মত সুবিধাজনক পরিবহন বেসরকারি হাতে গেলে ভাড়া কি আর সাধারণ মানুষেরা হাতে থাকবে? পরিকাঠামো নির্মাণ করবে সরকার। আর বেসরকারি সংস্থাকে মুনাফা অর্জনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে? কার স্বার্থে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, স্পষ্ট করুক কেন্দ্র।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস কংগ্রেসের সভাপতি বিনোদ শর্মা বলেন, “আগামী কয়েক বছরে ভারতীয় রেল আরও রুগ্ন হবে। তারপর তা বেচে দেওয়ার নীতি নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।” তবে অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মত এবার রেলকেও যেভাবে বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে ভারতের গরিমা নষ্ট হচ্ছে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা‌।

সেদিক থেকে গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের মোদি সরকার যে বেসরকারিকরণের ফলে অনেকটাই চাপে পড়তে চলেছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। অনেকে বলছেন, যেখানে বিজেপি সরকার আত্মনির্ভরতার কথা বলছে, সেখানে রেলকে বেসরকারিকরণের হাতে তুলে দিয়ে তারা কোন বার্তা দিতে চাইছে? তাহলে কি এটা পরোক্ষে আত্মনির্ভরের বদলে আত্মসমর্পণ নয়? প্রশ্নটা উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!