এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে কি এবার নাকের জলে, চোখের জলে করে বাংলা দখল করবে বিজেপি? বড়সড় ইঙ্গিত খোদ মোদীর!

তৃণমূলকে কি এবার নাকের জলে, চোখের জলে করে বাংলা দখল করবে বিজেপি? বড়সড় ইঙ্গিত খোদ মোদীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা যে তাদের পাখির চোখ, তা মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাংলা সফরে কার্যত প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। তবে বিজেপির পক্ষে বিহার জয় করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে যখন জল্পনা ছড়িয়েছিল, তখন বাংলার গোটা রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল সেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। অবশেষে বিহার দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এনডিএ। যার ফলে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা।

তবে এতদিন বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীদের মুখ থেকে এই বিহার জয়ের পর বাংলা তাদের প্রধান টার্গেট বলে শোনা গেলেও, এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা গেল সেই রকম কথা। যাকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত হয়ে উঠতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। সূত্রের খবর, বিহারে বিজেপি নেতৃত্বের এনডিএর জয় উদযাপনের জন্য বুধবার শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ অন্যান্যরা।

আর সেই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে বাংলার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে এটে উঠতে না পেরে কিছু মানুষ আমাদের কর্মীদের খুন করার পথ বেছে নিয়েছে। দেশের কোনো কোনো অংশে তারা মনে করছে, আমাদের কর্মীদের হত্যা করে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করবে। আমার মনে হয় না এদের আমার সতর্ক করার প্রয়োজন আছে। কারণ গণতন্ত্রে মানুষই জবাব দেয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “নির্বাচন আসবে, যাবে। আজ কেউ ক্ষমতায় থাকবে, কাল অন্য কেউ। কিন্তু গণতন্ত্রের হত্যালীলা মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যু নিয়ে খেলা করে মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না। এই দেওয়াল লিখনটা বোঝার চেষ্টা করুন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলায় সন্ত্রাস চলছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনের সময় কোনো রকম ঘটনা না ঘটলেও, বাংলায় রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখানে প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে শাসকদল।

এমনকি বিজেপির বাংলা নেতাদের পক্ষ থেকে বারবার এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিহার দখলের পর গণতন্ত্রের হত্যালীলার কথা তুলে ধরে বাংলার দিকে ইঙ্গিত করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, আগামী দিনে বাংলায় পরিবর্তন হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই নাম না করে হলেও প্রধানমন্ত্রী যে বাংলার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা এখন ব্যাপকভাবে উজ্জীবিত।

একাংশ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলার দিকে ইঙ্গিত করে বিজেপির বাংলার নেতাকর্মীরা এখন নতুনভাবে নির্বাচনী ময়দানে ঝাপানোর প্রস্তুতি নেবে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গলায় পরোক্ষভাবে বাংলার কথা উঠে আসায় বিজেপি যে এবার বাংলাকে পাখির চোখ করে নিয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!