এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > এটা বদলে যাওয়া ভারত! মোদীর লাগাতার ৩ মহা ধাক্কা চীনকে! ঘুম উড়তে চলেছে বেজিংয়ের?

এটা বদলে যাওয়া ভারত! মোদীর লাগাতার ৩ মহা ধাক্কা চীনকে! ঘুম উড়তে চলেছে বেজিংয়ের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভারত যে আর আগের মত নেই, এবার যে আঘাত হলে প্রত্যাঘাত হবে, তা প্রতিমুহূর্তে প্রমাণ করে দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে চীনের সংঘর্ষ হয়েছে। যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের প্রায় কুড়ি জন জওয়ান। আর এরপরেই চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই চীনের পণ্য পরিষেবা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বরাত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আমদানিতে করা হয়েছে কড়াকড়ি। আর এই তিন পদ্ধতি অবলম্বন করেই এবার চীনের বেজিং শহর চাপে ফেলতে উদ্যোগী হল ভারত সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই টিকটিক সহ 59 টি জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ বাতিলের ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্য শোনা যাচ্ছে যে, এবার চীনকে কখনই ছেড়ে কথা বলবে না ভারতবর্ষ। অর্থাৎ কেন্দ্রের বর্তমান মন্ত্রীরা তাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন, বর্তমান ভারত একেবারেই অন্য ভারত। কেন্দ্রের বর্তমান মোদি সরকারের নেতৃত্বে এই ভারতের ওপর কেউ আঘাত করলে তাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তিনি বলেন, “চিনা সোশ্যাল মিডিয়া উইবো ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ফল ভুগতে হবে। সীমান্তে যা শুরু হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই বহু দিকে ডালপালা ছড়িয়েছে এবং হয়ত এটা নেহাতই শুরু।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেন, “ভারতের কোন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র দিতে পারবে না চীনা সংস্থা। এই দেশের কোনো সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারবে না তারা। আর নতুন প্রকল্পের শামিল হতে দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই নেই। প্রয়োজনে পুরনো বরাত খতিয়ে দেখা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বদলানো হচ্ছে সমস্ত টেন্ডারে যোগ দেওয়ার আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত শর্ত। ছোট এবং মাঝারি শিল্পেও চীনা সংস্থাগুলোকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরেই উদ্ভাবনী কাজের অ্যাপ তৈরির ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ। অর্থাৎ চীনের অ্যাপের মাধ্যমে ভারত এতদিন নির্ভরশীল হলেও, এবার যাতে তা আর না হয়, যাতে ভারত নিজেই অ্যাপ তৈরি করতে পারে, তার জন্য বার্তা দিয়েছেন তিনি। এদিন রবিশংকর প্রসাদ বলেন, “বিদেশের উপর নির্ভরতা বন্ধ হওয়া জরুরী। বরং সমস্ত অ্যাপ সরে যাওয়ার সুযোগে ফাকা হওয়া বাজার ধরতে এই দেশের স্টার্ট অ্যাপগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। খালি বাজার বিপুল সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে তাদের জন্য‌।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশীয় সংস্থার ওপর এখন ধীরে ধীরে নির্ভরশীল হয়ে উঠতে চাইছে বর্তমান ভারত। আর চীনের পক্ষ থেকে ভারতে সংঘর্ষ চালানোর পরেই যেভাবে ভারতের পক্ষ থেকে চিনকে চাপে রাখা হয়েছে, তাতে ভারত আর চাইছে না বিদেশের উপর ভরসা রাখতে। আর তাই নিজেদের ক্ষেত্রকে স্বাবলম্বী করে এখন মাথা তুলে দাঁড়াতে চাইছে ভারতবর্ষ। আর তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনকে চাপে রাখতে তাদের 59 টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর এবার ভারত চীনের দিকে যে আর কোনোভাবেই মুখাপেক্ষী হবে না, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে সকলের কথায়। যার ফলে ক্রমশ কোণঠাসা হতে হচ্ছে চীনকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!