মোদী মন্ত্রীসভার এই সদস্যদের এবার উড়তে চলেছে ঘুম! কারণ জানলে চমকে যাবেন জাতীয় July 16, 2019 ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন তার থেকে অনেক বদলে গেছে বর্তমান সময়। পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী তথা সাংসদ হিসাবে যা শিখেছেন, দ্বিতীয়দফার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দলীয় সাংসদদের তার পরিপ্রেক্ষিতে আগাম করেছিলেন সতর্ক। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, গত পাঁচ বছরের কাজ দেখেই মানুষ আগামী পাঁচ বছরের দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপিকে – তাই তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে করতে হবে জনসেবা। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী যতই দলীয় নেতাদের এই নির্দেশিকা দিন, সংসদে চলা বাজেট অধিবেশনে নাকি ঠিকমত হাজিরাই দিচ্ছেন না তাঁর মন্ত্রিসভার বহু মন্ত্রী। আর এই খবর কানে যেতেই বেজায় চটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা দিয়েছিলেন, যে বাড়িতে বসে মন্ত্রক চালানোর দিন এবার শেষ। মন্ত্রকে পৌঁছাতে হবে ঘড়ি ধরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশিকা বোধহয় ততখানি গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করেননি তাঁর মন্ত্রীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই সংসদের বাজেট অধিবেশনে অনেক মন্ত্রীকেই গরহাজির থাকতে দেখা গেছে – যা মোটেও ভালোভাবে নেন নি প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিদিন দিনের শেষে সংসদে সাংসদ ও মন্ত্রীদের উপস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চান। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে বিজেপির সংসদীয় দলের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন – সেখানে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কোন পথে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো হবে তা নিয়ে দিকনির্দেশ করেন তিনি। আর আজকের বৈঠকের পরেই তিনি এই বিষয়ে তাঁর কড়া মনোভাব জানিয়ে দেন। সংসদে বিতর্ক চলার সময় যেসব সাংসদ ও বিশেষ করে মন্ত্রীরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, আগামীদিনে এই ধরনের কাজ মোটেও চলবে না। তিনি স্পষ্ট বলে দেন, তিনি নিজে এবার থেকে সংসদে উপস্থিতি, সেখানে বিতর্কে অংশ নেওয়া ও সংসদীয় কমিটিতে তাঁদের কাজ সবকিছু খুঁটিয়ে দেখবেন। এইসব বিষয়ের উপরেই ব্যক্তি, সাংসদ ও মন্ত্রী হিসাবে সংশ্লিষ্ট নেতা কতটা যোগ্য তার নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আর এরফলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য, যেসব নেতা ভাবছিলেন জিতে সাংসদ বা মন্ত্রী হয়ে গেছেন, এবার আরামের জীবন – তাঁদের এবার কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব যদি ঠিকভাবে না করতে পারেন আগামীদিনে মন্ত্রীত্ব তো যাবেই, একইসঙ্গে আগামীদিনে বিজেপির জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগও হবে হাতছাড়া। ফলে, বিজেপির বহু মন্ত্রী-সাংসদের এবার উড়তে চলেছে ঘুম বলেই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজধানীর অলিন্দে। আপনার মতামত জানান -