মোদীর সভার জায়গায় অন্য সভা আছে, তাই মোদীর সভা হবে না – দাবি জ্যোতিপ্রিয়র নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য January 27, 2019 “মতুয়া তুমি কার?” লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া রাজ্যের শাসক, বিরোধী দুই শিবিরই সেই মতুয়াদের পাশে থেকে নিজেদের ভোটব্যাংককে শক্ত করতে চাইছে। কিছুদিন আগে উত্তর 24 পরগনায় ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর জন্ম শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে মতুয়ারা তাদের পাশেই রয়েছে বলে বারবার দাবি করা হলে পাল্টা শাসকের সেই দাবিকে মিথ্যে করে মাঠে নামে বিরোধী দল বিজেপিও। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হাত দিয়ে সেই মতুয়াদেরই একাংশের হাতে পদ্ম শিবিরের পতাকা ধরানো হয়। অন্যদিকে মতুয়াদের উন্নয়নের জন্য পৃথক উন্নয়ন বোর্ড গড়ে তুলে পাল্টা বিরোধী দল বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই শাসক-বিরোধী প্রতিযোগিতা চলার মাঝেই এবার আগামী 2 ফেব্রুয়ারি সেই মতুয়াদের ঠাকুরনগরে সভা করার দিন স্থির করলেন কেন্দ্রের বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সভা ঠিক কতটা সার্থকতা লাভ করে এবার তা নিয়েই ধন্দে পড়ে গেলেন অনেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে 2 ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে আগামী 5 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই মাঠে মতুয়াদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় সেখানে কোনোরূপ অনুমতি দেওয়া যাবে। আর এই ঘটনাকে নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। আর এই তীব্র বিতর্কের মাঝেই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সভার ব্যাপারে মুখ খোলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, “যে মাঠে প্রধানমন্ত্রী আসতে চাইছেন ওই মাঠ মতুয়া ভক্তদের আগে থেকেই অনুষ্ঠান করার জন্য বুক করা আছে। প্রধানমন্ত্রী আসছে বলে তো সেই ধর্মীয় সভা বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। আর যদি অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও মোদীজি ওই মাঠে সভা করে তাহলে সেটা বেআইনি হবে। মানুষ ব্যালটে এর জবাব দিয়ে দেবে। আসলে বিজেপি ভোটব্যাংক বানানোর জন্য এখন মায়া কান্না কাঁদতে শুরু করেছে।” অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগরের সভা করতে এলেও মতুয়ার মানুষেরা যে এখনও তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখেন এদিন সেই ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ের সুর শোনা যায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গলায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের তরফে প্রায়ই অভিযোগ করা হত যে, শাসক দলের প্ররোচনায় তাঁদের সভা-সমিতি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আর এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাতেও বিজেপি অনুমতি না পাওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে যে ঝড় উঠতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। আপনার মতামত জানান -