প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, ততই ভারতবর্ষে করোনা ভাইরাস চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে তা পশ্চিমবঙ্গে তার দাপট অব্যাহত রেখেছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরার কারণে সংক্রমণ আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, করোনা মোকাবিলা করার জন্যই দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। তবে এবার করোনা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরির কৃষিমান্ডিতে তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আর সেখানেই করোনা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমন করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষে সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত। এর জন্য কে দায়ী বলুন তো! নরেন্দ্র মোদি। কারন নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে “নমস্তে ট্রাম্প” সভা করে আমেরিকা থেকে সাড়ে তিন হাজার লোক নিয়ে এল। আর ওরা আমাদের দেশে করোনা ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। ওই লোকটার কোনো বুদ্ধি নেই।”

অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করোনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করে অনুব্রত মণ্ডল এদিন রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল তুলে দিলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।

তিনি বলেন, “একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে দেখলাম অমিত শাহ বলছেন, 43 কোটি মানুষকে 52 কোটি টাকা দিয়েছি। কত বড় মূর্খ বলুন তো! 43 কোটি মানুষকে 52 কোটি টাকা দিলে এক একজন মানুষ এক কোটির বেশি পায়। আবার বলছেন কোটি কোটি কোটি কোটি টাকা দিয়েছি‌। তাহলে তো একজন মহিলাকে এক কোটি টাকা পেতে হয়। ওরা মূর্খ, অশিক্ষিত মানুষ। যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ কিচ্ছু জানে না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার যেভাবে গোটা বিশ্বে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করলেন অনুব্রত মন্ডল, তাতে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।