এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > মোদির বিদেশ নীতির চাপে ব্যাকফুটে চীন ? সামনে আসছে নতুন সমীকরণ – জানুন বিস্তারিত

মোদির বিদেশ নীতির চাপে ব্যাকফুটে চীন ? সামনে আসছে নতুন সমীকরণ – জানুন বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে কাশ্মীর থেকে 370 ধারা অবলুপ্তির ফলে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে প্রবল আপত্তি প্রকাশ করে পাকিস্তানের। এই ঘটনাকে ইস্যু করে চীনের হাত ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘে গিয়ে গর্জন করার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। একদা বন্ধু চীন তাদের সাহায্য করবে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে, এমনই আশা ছিল তাঁদের। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের সে আশায় জল ঢেলেছে চিন নিজেই।

এখনো পর্যন্ত চিন কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের বিরুদ্ধে হিসেবে কোনো কথাই বলেনি। উপরন্তু এবার ভারত সফরে আসার কথা ঘোষণা করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, অক্টোবর মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে সফল বৈঠকের উদ্দেশ্যে ভারতে আসছেন। তবে তাঁদের আলোচনার মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু থাকলেও তা কোনোভাবেই পাকিস্তানের ভাবধারা বয়ে আনবে না বা আলোচনার একমাত্র বিষয় হবে না।

এই বৈঠক নিয়ে চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং জানিয়েছেন, ‘এটা একটা সাধারণ এবং রুটিন বৈঠক। এই বৈঠকে কাশ্মীর আলোচ্যসূচিতে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। কাশ্মীর আলোচ্যসূচিতে থাকতেও পারে। তবে দুই রাষ্ট্রপ্রধান কি নিয়ে আলোচনা করবেন সেটা তাদেরই ঠিক করতে দিন।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘কাশ্মীর ভারত – পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করে চীন। কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে। ভারত – পাকিস্তান আলোচনার মধ্যে দিয়েই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলুক।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাকিস্তানের এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। ভারতের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে বারংবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর আবার ভারতে ফিরিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান ভারত কে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিও দিয়ে রেখেছে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী পাকিস্তানের এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্টই খারাপ। তাই যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার কথাই চিন্তা করছে তাঁরা।

অন্যদিকে একইরকমভাবে চীন ও আতঙ্কে রয়েছে আকসাই চীন এবং লাদাখের বাড়তি অংশ যা চীনের অধিকারে রয়েছে – তা ভারতের সম্পত্তি বলে দাবি করেছে ভারত। আর তা ফিরিয়ে আনার কথাও বারেবারে বলা হচ্ছে ভারতীয় নেতাদের পক্ষ থেকে। মনে করা হচ্ছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীন অধিকৃত ভারতীয় অংশ নিয়ে ভারতের মনোভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে জানতে চাইতে পারেন। তবে চীনা সূত্র থেকে জানা গেছে, ভারত ও চিনের – দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত করার জন্যই এই বৈঠকের আয়োজন হয়েছে।

ভারতের বিরুদ্ধে চীন বরাবরই শত্রু মনোভাবাপন্ন প্রতিবেশি হিসেবেই পরিচিত। প্রতিনিয়ত চীন চেষ্টা করে যাচ্ছে ভারতের কিছু অংশকে নিজের দেশের সাথে যুক্ত করার। বিজেপি সরকার কেন্দ্রে আসার পরেই চিন বা পাকিস্তান দুজনেরই হয়েছে মুশকিল। কূটনৈতিক চালে ভারত বারেবারে পরাজিত করছে পাকিস্তান এবং চীনকে। তবে ভারত ও চীনের এই সৌহার্দ্যমূলক বৈঠকের পরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর রাখবে তামাম রাজনৈতিক মহল।

সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতির ফলে, পাকিস্তান তো আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেই – কিন্তু, ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাতে তাদের সবথেকে বড় ভরসা ছিল যারা – সেই চীনও এবার সুর নরম করে ভারতের বিরুদ্ধে অন্তত যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোদির সঠিক বিদেশনীতির ফলে, কূটনৈতিক চালে – ভারত বর্তমানে চীনকেও একঘরে করে দিতে পারে। আর সেক্ষেত্রে চীনের বাণিজ্য বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে – ভেঙে পড়বে অর্থনীতি। তাই পাকিস্তানকে আপাতত দূরে রেখে – ভারতের সঙ্গে সখ্যতাতেই বেশি আগ্রহী চীন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!