এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদিকে ধন্যবাদ, শরদই নেতা, বিজেপি-এনসিপি জোট সরকার! অজিতের বার্তায় চমকের পর চমক মহারাষ্ট্রে

মোদিকে ধন্যবাদ, শরদই নেতা, বিজেপি-এনসিপি জোট সরকার! অজিতের বার্তায় চমকের পর চমক মহারাষ্ট্রে


 

প্রতিমুহূর্তে ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা চলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এক সেকেন্ডের মধ্যে কি ঘটে যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের সমস্ত রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই নানা সমীকরণকে সরিয়ে রেখে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে বিজেপি। যেখানে এনসিপি বিজেপিকে সমর্থন না দেওয়ার কথা জানালেও সেই এনসিপি’র অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছে। যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তাহলে কি দলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন অজিত পাওয়ার!

তবে শনিবার সরকার গঠনের পর এই ব্যাপারে নিজের মতামত জানিয়ে দেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “অজিত পাওয়ার যা করেছে, তা তার ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে।” অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দেন যে, দলের বাইরে বেরিয়ে অজিত পাওয়ার এই কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তবে তারা অর্থাৎ, এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনার মধ্যে জোট অটুট থাকবে।

এমনকি তারা এই ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনে বিজেপিকে সরিয়ে তারাই জোট সরকার গঠন করবেন। কিন্তু শরদ পাওয়ারের এই মন্তব্য অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও এবার অজিত পাওয়ারের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হল জল্পনা। বস্তুত, যখন বিজেপির সরকার গড়ার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনা, ঠিক তখনই এদিন একটি টুইট করে বিতর্ক বাড়িয়ে দেন অজিত পাওয়ার।

তিনি বলেন, “আমি এনসিপিতেই আছি এবং সবসময় এনসিপিতেই থাকব। শরদ পাওয়ারই আমাদের নেতা।” আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এবার আলোরন পড়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। অনেকেরই প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এরকম মন্তব্য করতে গেলেন অজিত পাওয়ার? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর দুটি কারণ হতে পারে প্রথমত সরকারগুলির নিলেও তাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আর তাই চাপে পড়ে এনসিপি’র ঢোকার চেষ্টা আগেভাগে শরদ পাওয়ারকে নিজের নেতা বলে তিনি এনসিভিত এই আছেন একথা স্পষ্ট করে দিলেন অজিত পাওয়ার।

আর দ্বিতীয়ত, অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার পর এনসিপি সুপ্রিমো হিসেবে শরদ পাওয়ার “এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত” বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। যার পরে সেই অজিত পাওয়ারকে দলনেতার পথ থেকে সরিয়ে দেয় এনসিপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই দাবি করতে থাকেন, হয়ত এবার অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে। তবে সেদিক থেকে কৌশলগত কারণে সেই শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে যে জোট তৈরি হচ্ছে, সেই জোটে ফাটল ধরানোর জন্যই অজিত পাওয়ার এদিন এইরূপ টুইট করেছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাহলে কি ফের মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ঘোরালো আকার নেবে!

অজিত পাওয়ারের এরূপ মন্তব্যের কি কোনো প্রভাব পড়বে এই রাজ্যের রাজনীতিতে! এখন তা নিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তবে নিজেদের মধ্যে জোট করে বিজেপির প্রতি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কথা শোনা গেছে এনসিপি কংগ্রেস এবং শিবসেনা নেতাদের গলায়। তবে যে রাজনৈতিক দল যে কথাই বলুক না কেন, অজিত পাওয়ারের এরূপ মন্তব্য যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অন্দরেই এখন চর্চার কারণ, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি অজিত পাওয়ার শরদ পাওয়ারকে নেতা বলে তিনি এনসিপিতেই আছেন একথা তুলে ধরে পরোক্ষে জোটে ফাটল ধরাতে পারেন, তাহলে এনসিপি’র ভূমিকা নিয়ে সেই শিবসেনা এবং কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন উঠবে। সেদিক থেকে তারা এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করতে পারে। তাই বিজেপিকে সমর্থন করা অজিত পাওয়ার এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির বাগে আনতে এনসিপি এবং শরদ সম্পর্কে এরূপ কথা বলার চেষ্টা করলেন বলে মত অনেকের। তবে অজিত পাওয়ার এরূপ মন্তব্য করলেও, শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে তিন দলের ঐক্য অটুট থাকে, নাকি সেখানেও ফাটল ধরে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!