এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদির আর্থিক নীতির কড়া সমালোচনায় শত্রুঘ্ন সিনহা, পরিস্থিতি সামলালেন রূপা গাঙ্গুলি

মোদির আর্থিক নীতির কড়া সমালোচনায় শত্রুঘ্ন সিনহা, পরিস্থিতি সামলালেন রূপা গাঙ্গুলি


এবার শরিকদলেরই সমালোচনার শিকার বিজেপি। এদিন ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘ইন্ডিয়ান ইকোনমি অ্যান্ড ইটস চ্যালেঞ্জারস’শীর্ষক একটি আলোচনা সভা ছিল। সেখানেই এনডিএ-র শরিক জেডিইউয়ের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র এবং এমপি পবন কুমার ভার্মা এবং বিজেপির এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা চাঁচাছোলা শোনালেন মোদীসরকারকে। সমালোচনায় মুখর হলেন মোদীজির অার্থিক নীতি প্রসঙ্গে। জানা গিয়েছে,এই বিতর্ক সভায় আমন্ত্রিত হয়েও হাজির ছিলেন না তৃণমূলের এমপি সৌগত রায়। তবে পবন কুমার বর্মা এবং শত্রুঘ্ন সিনহা যেভাবে বিজেপির তরফের হয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তাতে সৌগতবাবুর অভাব বোধ করেনি কেউ,এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। তবে বিজেপির সাপোর্টে একা দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন যিনি,তিনি হলেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

সমালোচনায় মোদীসরকারকে বিঁধে পবন কুমার বর্মা প্রথমেই বলেন,’আমি অর্থনীতির সঙ্গে দর্শনকে মেলাতে ভালোবাসি। আর দর্শনে মায়া বলে একটি বিষয় আছে।’ প্রসঙ্গে বলেন,বর্তমানে দেশ ব্যবসা করার সহজ উপায় ধরে ৩০ পয়েন্ট এগিয়েছে।  কিন্তু আজও ব্যবসার জগতে ১৯০ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩০ নম্বরে। মোদীসরকার বলেছে,মুদ্রাস্ফীতি কমছে ক্রমশ কিন্তু সাধারণ মানুষ দিন দিন আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির শিকার হচ্ছে। কৃষকের অবস্থার নাকি বদল এনেছে বিজেপি। তাই যদি হতো তাহলে কৃষকদের ফসলের দাম না পেয়ে রাস্তায় আনাজ ঢেকে প্রতিবাদ জানাতে হত না। লাভের ফল পাচ্ছে শুধুমাত্র বিমা কোম্পানিগুলো। ধনী আরো ধনী হচ্ছে আর গরীব আরো গরীব। এখনো দেশের সিংহভাগ শিশু অপুষ্টি এবং অশিক্ষার শিকার। ‘স্বচ্ছ ভারত’ বুলি আওড়ে প্রচার চালাচ্ছেন মোদীজি,অথচ দিল্লির গাজিপুরে গেলে দেখা যাবে জঞ্জাল সমস্যার ভয়ানক রূপ। তাই উন্নয়ণের নামে ছলনা করা হচ্ছে মানুষের সঙ্গে। এই বক্তব্য পেশের পর বিজেপি সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বললেন,’ নিজেদের পরিসংখ্যানে নিজেরাই জড়িয়ে যাচ্ছি না তো?’ পাশাপাশি এটা জানান,এ দেশের মানুষ কখনোই আর্থিক বা সামাজিক অস্থিরতা চায় না। তাদের দাবী কেবল শিক্ষা,স্বাস্থ্য,পানীয় জল এবং ঘরবাড়ি পাওয়ার মতো সুবিধা এবং পরিকাঠামো। এটা মোদী সরকারকে বুঝে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে,নোটবন্দি থেকে আচ্ছেদিন কিংবা স্বচ্ছভারত মোদীসরকারের সব সিদ্ধান্তের পিছনেই একটা বিষ্ময়বোধক চিহ্ন বসিয়ে দিলেন পবন কুমার ভার্মা। তাঁর সমালোচনার পথ বেয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বললেন, নোটবন্দির সমস্যা থেকে শিল্পমহল পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বেরোতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এমনকি নাকানিচোবানি খেয়ে অনেক মানুষকে প্রাণও খোয়াতে হয়েছে। মোদীসরকারের উদ্দেশ্য মহৎ থাকলেও তা রূপায়ণে বিস্তর গলদ ছিল।  বক্তব্য শত্রুঘ্ন সিনহার। বারবার নিজেকে বিজেপির সমর্থক বলে দাবী করলেও নিজস্ব ভঙ্গিতে বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের গণতন্ত্রের দাবীতে পথে নামতে হয়েছে, এটা ব্যাথিত করেছে তাকে। এদিন জিএসটি চালু থেকে শুরু করে স্যানিটারি প্যাড কিংবা লঙ্গরখানার মতো পন্য ও পরিষেবাকে নোটবন্দির আওতায় আনার তীব্র সমালোচনা করেছেন পবন কুমার বর্মা এবং শত্রুঘ্ন সিনহা দুজনই। তবে এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রের সমর্থনেই কথা বললেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এটাকে সাময়িক সমস্যা বলেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি। এবং প্রয়োজনে শুধরে নিতে হবে বলেও আশ্বাস দিলেন।

অন্যদিকে,নোট বাতিলের রূপায়ণে ত্রুটি ছিল মেনে নিয়েও তিনি বলেন হঠাৎ করে এটা ঘোষণা করা ছাড়া উপায় ছিল না কোনো। এটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কোনো সন্দেহ থাকা উচিৎ না বলেও জানালেন তিনি। এটাও বললেন দেশের যাবতীয় সমস্যার জন্য মোদীজির ৪ বছরের শাসনকালকে দায়ী করা ঠিক নয়। ‘আচ্ছে দিন’ দেশে আসবে সেদিন,যেদিন দেশের মানুষ চাইবে। তবে মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে এসবের পাশে ভুললে চলবে না। এমনভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় নিজের বক্তব্য পেশ করলেন ‘বিহারী বাবু’। তবে মোদীসরকারের হয়ে একাই লড়ে গেলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কার্যত এ কারণেই তাঁর কোনঠাসা অবস্থা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!