এবার “লাভ-জেহাদ” আটকাতে বড়সড় পদক্ষেপের পথে মোদী-শাহ জুটি জাতীয় August 11, 2019 সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে যেন দীর্ঘদিনের থাকা প্রতিশ্রুতিই এবার পালন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষেই তিন তালাক বিলের পর কাশ্মীরের 370 ধারা অবলুপ্তি এবং জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে বিল পাস করিয়েছে মোদি সরকার। আর যার পরেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর ঠিকমত সবকিছু বুঝে না ওঠাতেই মোদি সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি! আর তাইতো দ্বিতীয়বার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই একে একে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে তারা! হয়তো কিছুটা হলেও এই জল্পনা সত্যি। কেননা তিন তালাক, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এবার হিন্দুদের ধর্মান্তরিত রোখা এবং লাভ জিহাদের মতো ঘটনা আটকাতেই সংসদে বিল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিলটি আনার জন্য সব রকম প্রস্তুতি শুরু করা হতে পারে। বস্তুত বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি যে, এখনও পর্যন্ত জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে দেশে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটে চলেছে। ভালোবাসার নামে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু মেয়েদের ধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার সময় দেশে 90 শতাংশ হিন্দু থাকলেও এখন তা 72 থেকে 73 শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। তবে বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ জনগননার নথি। যেখানে বলা হয়েছে, 1971 সালে দেশে হিন্দুর সংখ্যা ছিল 84 শতাংশ। কিন্তু 2011 সালের হিসেবে তা কমে দাঁড়িয়েছে 79.80 শতাংশে। তবে “লাভ জিহাদ” নিয়ে গেরুয়া শিবির সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে বিল আনলে তা নিয়ে এখন থেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া শোনা গেছে বিরোধীদের গলায়। তাদের দাবি, একজন প্রাপ্তবয়স্ক কোন ধর্মে বিয়ে করবেন বা কোন ধর্ম গ্রহণ করবেন, সেটা তার মৌলিক অধিকার। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির কর্তা স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী বলেন, “আমরা চাই সরকার দ্রুত আইন করুক। হিন্দু সমাজের স্বার্থেই তা প্রয়োজন।” তবে তিন তালাক, কাশ্মীরে 370 ধারা অবলুপ্তির পর এবার লাভ জিহাদ নিয়েও যদি কেন্দ্রীয় সরকার সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এইরুপ বিল আনে তাহলে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন ঠিক কি আকার ধারণ করবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -