এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদী-শাহের আস্থাভাজন পঞ্চপান্ডব দায়িত্ব নিতেই তৃণমূলের নয়া প্রচার শুরু, চাপ বাড়ছে কি বিজেপির

মোদী-শাহের আস্থাভাজন পঞ্চপান্ডব দায়িত্ব নিতেই তৃণমূলের নয়া প্রচার শুরু, চাপ বাড়ছে কি বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ইতিমধ্যেই বাংলাকে পাখির চোখ করে চূড়ান্ত রণকৌশল শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলার নেতাদের উপর কিছুটা কম ভরসা করে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করা পাঁচ বিজেপি নেতাকে রাজ্যের পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন সুনিল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওড়ে, হরিশ দ্বিবেদী এবং বিনোদ সোনকর। স্বভাবতই বিজেপির এই উদ্যোগেই স্পষ্ট যে, তারা এবার বাংলাকে কতটা গুরুত্ব দিতে চলেছে।

তবে পাঁচ প্রভাবশালী ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাকে বাংলার ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও, এবার তা নিয়ে পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলার ক্ষমতা দখলে বাঙ্গালীদের উপর ভরসা নেই ভারতীয় জনতা পার্টির। অর্থাৎ বাংলা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বরাবর তৃণমূল কংগ্রেস যে অভিযোগ করে এসেছে, এক্ষেত্রেও সেই অভিযোগ করতে শুরু করেছে। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি এখন অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন একাংশ।

 

বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন বাংলায় 18 টি আসন দখল করেছিল, তারপর থেকেই সর্বভারতীয় বিজেপি নেতাদের রাজ্যে আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। আর তখন থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজেপি যদি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে, তাহলে তারা বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেবে। বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি সম্পর্কে বিজেপির কোনো ধারণা নেই বলে শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।

স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার মানুষের কাছে বিজেপিকে বাংলা বিরোধী দল হিসেবে তুলে ধরে প্রচার করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বাংলাকে অত্যাধিক ভাবে গুরুত্ব দিয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত বিজেপি নেতাকে বাংলায় পরিবর্তন আনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তারপরেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বাংলা দখলে বাংলার বিজেপি নেতাদের গুরুত্ব দিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই বাইরে থেকে বিজেপি নেতাদের এনে বাংলার জয় নিশ্চিত করতে চাইছে তারা? স্বাভাবিকভাবেই ভিনরাজ্যের বিজেপি নেতাদের এখন রাজ্যে আনাগোনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বহিরাগতদের দিয়ে রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যদিও বা তৃণমূলের এই অভিযোগকে পাল্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “আমরা কি চীন থেকে এসেছি নাকি!” অর্থাৎ তৃণমূলের এই অভিযোগে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ভিন রাজ্যের পাঁচ বিজেপি নেতাকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছে। আর সেই কারণেই এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাংলার কৃষ্টির কথা তুলে ধরে বাঙালিদের আবেগকে উস্কে দিয়ে বিজেপির এই পদ্ধতি নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে বলে দাবি সমালোচক মহলের।

 

তবে তৃণমূল যখন এই কথা বলছে, তখন তাদের দলের বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরে পাল্টা সরব হচ্ছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল যদি অতই বাংলাদরদী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগী হবে, তাহলে কেন বাইরের রাজ্যের মানুষ প্রশান্ত কিশোরকে তাদের দলের রাজনৈতিক রননীতিকার করতে হল! কেন বাংলার কাউকে ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস? আসলে যত দোষ নন্দ ঘোষ। বিজেপি তাদের নেতাদের বাংলার সংগঠনকে মজবুত করতে কাজে লাগিয়েছে। এক্ষেত্রে দোষের কিছু নয়।

 

কিন্তু তৃণমূল অন্য রাজ্য থেকে নিজেদের দলের কেউ না হওয়া সত্ত্বেও, তাকে ভাড়া করে এনে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ তৃণমূলের বুজরুকি ধরে ফেলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা এর জবাব দেবে বলে দাবি বিজেপির একাংশের। স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপির পাঁচ নেতার আগমনে তৃণমূল কংগ্রেস যে কিছুটা হলেও চাপে, তা তাদের এই ধরনের বক্তব্যেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!