এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২০১৯ এ জিততে মোদিকে সরিয়ে এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে মুখ করার প্রস্তাব, ধাক্কা মোদী শাহের

২০১৯ এ জিততে মোদিকে সরিয়ে এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে মুখ করার প্রস্তাব, ধাক্কা মোদী শাহের

এই মুহূর্তে রাজনৈতিকমহলের অন্যতম চর্চিত বিষয় হল ১৯’এর লোকসভা ভোটের পর কে হবেন দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী? রাহুল গান্ধী,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,প্রণব মুখোপাধ্যায় নাকি নরেন্দ্র মোদীই দিল্লির কুর্সিতে অব্যাহত থাকবেন? জল্পনা চলছে গোটা বছর ধরেই। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভালো পারফরমেন্সের কারণে রাহুল গান্ধীরকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

ওদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা ফেডারেল ফ্রন্টের মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান অনেকেই। প্রতিযোগিতার দাঁড়িয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। অনেকে আবার মোদীকে ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় দেখতে চান। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছিলো।

তবে এবার নরেন্দ্র মোদীকে অস্বস্তিতে ফেলে লোকসভা ভোটে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নীতিন গড়কারিকে প্রার্থী করার আর্জি জানালেন মহারাষ্টের এক কৃষক নেতা। এই প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপিশিবিরে।

নজরে আসার মতো ব্যাপারটি হল, থানে এবং পুনে মেট্রো রেলের শিলান্যাস সংক্রান্ত একগুচ্ছ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে যেদিন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাজির রয়েছেন মহারাষ্ট্রে,সেদিনই এমন দাবীর কথা জানালেন রাজ্য সরকারের প্যানেলের বসন্ত রাও নায়েক শেটি স্বাবলম্বন মিশনের(ভিএনএসএসএম)চেয়ারম্যান কিশোর তিওয়ারি।

আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত্‍ এবং সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি সুরেশ যোশীকে চিঠি দিয়ে জানান, মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে বিজেপির অপ্রত্যাশিত ফলাফলের কারণ নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দম্ভের মাশুল দিতে হচ্ছে দলকে। তিনিই নোটবন্দি,জিএসটি, পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনস্বার্থবিরোধী একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার কারণে বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছেন ক্রমশ।

এর পাশাপাশি চিঠিতে তিনি আরো জানিয়েছেন,মোদী-শাহের হটকারী সিদ্ধান্ত এবং স্বৈরাচারী আচরণ গোটা দেশই আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। এইজন্যেই লোকসভা ভোটে বিজেপিকে জিততে গেলে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিকে সামনে রাখলে হবে না।

সেজন্যেই সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য এবং অমায়িক স্বভাবের নীতিন গড়করিকে মোদীর স্থানে নিয়ে আসার অনুরোধ করলেন তিনি।গড়করি শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় আসতে যেমন সক্ষম তেমনি জনস্বার্থমুখী কাজ করতেও পটু,এমন যুক্তিকে সামনে রেখে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে জিততে মোদীকে সরিয়ে নীতিন গড়করিকে মুখ করার প্রস্তাব দিলেন এই কৃষক নেতা।

২০১৪ সালের মোদী ম্যাজিক গত চার বছরে ফিকে হয়েছে ক্রমশ। দেশে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া উত্তাল। যার প্রমাণ দিয়ে গেল সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির নজিরবিহীন পরাজয়। দিল্লির মসনদে বসার আগে কৃষকের ঋণ মওকুফ করা, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরানো, বছরে ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থানসহ শত শত প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন মোদী। সেগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি সরকার,এমনটাই অভিযোগ।

তেওয়ারির বক্তব্য,মধ্যপ্রদেশ,ছত্তিশগড়ে বিজেপি ভালো কাজ করলেও এঁরা শুধুমাত্র বুলেট ট্রেন আর মেট্রো রেল চালু করতে আগ্রহী। বিজেপি সরকার ভেবেছে,শুধুমাত্র ওটুকু করেই আমজনতার মন জয় করা যায়। দেশের সমস্যা মেটানো যায়! কিন্তু আদতে দেশের নানান ইস্যুর জন্ম দিয়েছেন মোদী ক্ষমতায় এসে। তাঁর জনবিরোধী এবং কৃষকবিরোধী নীতির কারণেই দেশবাসীর মন থেকে দূরে সরেছেন তিনি।

সে কারণেই হিন্দিবলয়ের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেই ভোট পড়েনি পদ্মচিহ্নে। তাই মোদীকে সরিয়ে লোকসভা ভোটে বিজেপির মুখ হিসাবে নীতিন গড়করিকে নিয়ে আসতে জয় সম্ভব গেরুয়া শিবিরের,এমনটাই বক্তব্য এই কৃষকনেতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
তিনি বললেন,ষাটোর্ধ্ব এই গোঁড়া বিজেপি-আরএসএস সমর্থক একদিকে যেমন বিজেপির জাতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন একসময় তেমনি কেন্দ্র ও রাজ্যে মন্ত্রীত্বের দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করেছেন। এখন কিশোর তিওয়ারির আবেদনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ কী প্রতিক্রিয়া দেয় তা নিয়েই তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!