বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে এনআরসি নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বেশ কিছুদিন আগে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে, বেশ কিছু হিন্দুর নাম বাদ পড়েছে। যার পর থেকেই এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের তরফে ব্যাপক সোচ্চার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

অসমের পর সারা ভারতবর্ষে জুড়ে সেই এনআরসি চালু করা হবে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। তবে এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে ছিল গোটা ভারতবর্ষজুড়ে। কিন্তু এবার এনআরসির পর আসতে চলেছে নাগরিক সংশোধনী বিল।

সূত্রের খবর, আগামী 10 ডিসেম্বর সংসদে পেশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর-পূর্বের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করে সেই বিল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে এখন প্রবল বিরোধিতার জন্য উদ্যোগী হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যে কারণে এই নাগরিকত্ব বিল রাজ্যসভায় পাশ করাতে বিজেপিকে অনেকটাই বিপাকে পড়তে হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

জানা গেছে, বিজেপি বিরোধী দলগুলো এই বিলের বিরোধিতায় ময়দানে নামতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদলের মধ্যে কংগ্রেস বিজেপির বিরোধিতায় এই বিল নিয়ে সরব হওয়ায় তারা শিবসেনাকে পেতে পারে বলে মনে করছে একাংশ। তবে বিরোধীরা যদি বিজেপিকে এক্ষেত্রে সরব হয়, তাহলে বিজেপির কাছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজেডির সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ হলে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে এই ব্যাপারে প্রবল বিরোধিতা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নাগরিকত্ব বিলের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত। যদি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই ঘটনাকে ইস্যু করে সংসদে সরব হয়, তাহলে বিজেপি কিভাবে সেটাকে মোকাবিলা করে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।