এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির ভরাডুবি হলে কি বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবেন মোদী-শাহ জুটি? বাড়ছে জল্পনা

ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির ভরাডুবি হলে কি বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবেন মোদী-শাহ জুটি? বাড়ছে জল্পনা


 

2014 পর 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু কেন্দ্রের মসনদ বিজেপি দখল করলেও, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। একের পর এক হিন্দু অধ্যুষিত রাজ্যগুলো বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। আর এবার ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল সেই বিজেপির চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল।

সূত্রের খবর, এদিন রিপাবলিক টিভি জন কি বাত এক্সিট পোলে বলা হয়েছে, ঝাড়খন্ডে বিজেপি যেখানে 23 থেকে 30 টা আসন পাবে, সেখানে কংগ্রেস জোট পাবে 37 থেকে 47 টি আসন। আর যদি এই সমীক্ষা সত্যি হয়, তাহলে বিজেপির পক্ষে ঝাড়খন্ড দখল করা যে অত্যন্ত কঠিন হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

বস্তুত, বর্তমানে একদিকে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়া আর অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শুধু বিরোধীদের পক্ষ থেকেই নয়, বিজেপির শরিক দলগুলোও ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে শুরু করেছে।

যে পরিস্থিতিতে কার্যত কোণঠাসা হওয়ার জোগাড় ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই পরিস্থিতিকে সামলে নিয়ে যদি ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ক্ষমতা দখল করতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যত যে তাদের কাছে কার্যত অন্ধকার, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা একের পর এক হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো যদি বিজেপির হাতছাড়া হতে শুরু করে, তাহলে বিজেপির ভোটব্যাংক যেমন ধাক্কা খাবে, ঠিক তেমনই বিরোধী দলগুলোও তাদের বিস্তার ঘটাতে শুরু করবে। আর ভারতবর্ষের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী, যদি কোনো দল ধাক্কা খেতে শুরু করে, তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না।

ফলে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব ভাল করেই জানে যে, যদি ঝাড়খন্ডে তারা ভালো ফল না করতে পারে, তাহলে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নেতৃত্ব নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। আর এই পরিস্থিতিতে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সূত্রের খবর, কোন মন্ত্রী কেমন কাজ করছেন, সেই ব্যাপারেই জেনে নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির কাছে এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীই প্রধান অস্ত্র। ফলে তার নেতৃত্বেই বিজেপি কাজ করতে চাইছে। কিন্তু ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচন তাদের কাছে অগ্নিপরীক্ষার সমান। আর তাই বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির বিরুদ্ধে নানা মতামত উঠে আসলেও এখন ফলাফলের দিকেই নজর রয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তবে এই ফলাফল নিয়ে আশা আশঙ্কায় রয়েছেন সকলেই।

কেননা যদি এখানে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে না পারে, তাহলে দলের অন্দরে সেই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। যা বিরোধীদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মত পর্যবেক্ষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়! আদৌ বুথ ফেরত সমীক্ষা শক্তি হয়, নাকি অটুট থাকে বিজেপি ঝড়! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!