এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদী-শাহের একবার অনুমতি পেলেই তৃণমূলের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দেবে বিজেপি? দাবি রাজ্য নেতার

মোদী-শাহের একবার অনুমতি পেলেই তৃণমূলের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দেবে বিজেপি? দাবি রাজ্য নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর বামেদের সমস্ত পার্টি অফিসে তৃণমূলের কর্মীরা আক্রমণ চালাতে শুরু করবেন বলে আশঙ্কা করেছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে পালাবদলের সাথে সাথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল তৃণমূল কর্মীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো পার্টি অফিসে যেন কেউ হামলা না করে। যার ফলে রাজ্যে ব্যাপক মাত্রায় পালাবদল হলেও সেরকম ভাবে কোনো রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। তবে সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন।

এবারের এই নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির জোর টক্কর হতে চলেছে। এখন থেকেই ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী বিজেপি নেতারা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে ক্ষমতায় এলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের দেখে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। আর এবার তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।

জানা গেছে, গত 1, 5 এবং 8 সেপ্টেম্বর কলকাতা পৌরসভার 99 এবং 101 নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিজেপির কার্যালয়। আর তার প্রতিবাদেই এদিন দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলি বাগান থেকে বিদ্যাসাগর মোড় পর্যন্ত বিজেপির পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে উঠে রীতিমত তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তাকে।

তিনি বলেন, “আমাদের নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ প্রতিরোধে কাজ না হলে প্রতিশোধ নাও। আমরা যখন প্রতিশোধ নিতে শুরু করব, নির্মম প্রতিশোধ হবে। তৃণমূল খুচরা দোকান। যেদিন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ চাইবেন, একদিনে ওটা বন্ধ করে দেবেন। একবার শুধু ওখান থেকে ইশারা আসুক। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের একটা কার্যালয় থাকবে না। সব আমরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব।” আর সায়ন্তন বসুর মত বিজেপি নেতার এহেন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, সায়ন্তন বসু থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, মাঝেমধ্যেই এমন হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। তবে এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূল এবং তাদের মধ্যে কি পার্থক্য থাকল, তা অবশ্যই জনসাধারনের মনে প্রশ্ন হিসেবে দেখা দেবে। ক্ষমতায় আসার আগেই যদি এইরকম হুঁশিয়ারি এবং বদলার রাজনীতি নিতে শোনা যায় বিজেপি নেতাদের, তাহলে জনসাধারণ তাদের প্রতি কিভাবে ভরসা রাখবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তাহলে কি তারা তৃণমূলকে দমানোর জন্য তাদের পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কোনোরূপ অনুমতি চেয়েছেন! আর তাই কি এদিনের সভা থেকে সেই ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেল সায়ন্তন বসুকে? এদিন এই প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, “এখনও চাইনি। পরে প্রয়োজন হলে চাইব।” তবে এই ব্যাপারে সায়ন্তন বসুকে “পাড়ার ছেনো গুন্ডা” বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী তাপস রায়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে ক্ষমতায় আসার আগেই এখন তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে রীতিমত বদলার সুর শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের গলায়, তাতে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। এখন সায়ন্তন বসুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!