এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই তৃণমূল পরাজিত হবে’ – নেতাজির জন্মদিনে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর

‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই তৃণমূল পরাজিত হবে’ – নেতাজির জন্মদিনে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর

নেতাজির ১২৩ তম জন্মদিবস পালনের দিনই তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষার আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। গনতান্ত্রিক ভারতবর্ষে স্বৈরাচারের শাসন কায়েম করে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বাংলায় কোনো গনতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। এমনটা বলেই সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিংবা জাতীয় বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক যেভাবে তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগেন ঠিক একই মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে টার্গেট করলেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে আলোচনার সময় বাংলার গনতন্ত্রের প্রসঙ্গ সামনে এলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোদী।

তারপরই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন,তৃণমূলের শাসনে বাংলায় একটি আতঙ্কের পরিস্থিত তৈরি হয়েছে। বাংলায় একনায়কতান্ত্রিক শাসন চালাচ্ছে মমতা। গনতন্ত্রের মারণযজ্ঞ চলছে বাংলায়। সঠিকভাবে নির্বাচন হতে দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কারণ তাঁরা জানেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলেই তৃণমূল পরাজিত হবে।

তবে তৃণমূল যতোই একনায়কতন্ত্র চালাক না কেন বিজেপি গনতন্ত্রের পথেই হাঁটবে বলে সাফ জানিয়ে দিন মোদী। এছাড়া বাংলায় একের কর এক বিজেপির কর্মসূচিতে যেভাবে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল,সেটারও তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি মালদহে সভা করলেন জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। বললেন,বাংলা একসময় সংস্কৃতি এবং ব্যবসার পীঠস্থান ছিল। সেই ঐতিহ্যকে দায়িত্বসহকারে নষ্ট করছে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ রাজ্যে জনস্বার্থমুখী কোনো শিল্প নেই,নেই কোনো কর্মসংস্থান। রাজ্যটাকে বোমা এবং অস্ত্র তৈরির আখড়ায় পরিনত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকার এই রাজ্যের ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গকে সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্ত করবে বলেই জানিয়ে দেন তিনি।

এছাড়া এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর সপ্তম কে কমিশন চালু এবং এনআরসির বলবৎ করার কথাও জানিয়েছেন জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়প একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ২০ টির বেশি আসন পেলে তিনি রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে ৪২ টি আসনই দখলে রাখার দাবী করে রেখেছে তৃণমূল।

আর বিজেপি লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে ২৪ টি আসন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা এই নেতা জানান,রাজনীতির পরীক্ষায় তিনি অনেক বসেছেন। ২০০৮- ২০১১ সাল পর্যন্ত ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য,২০১১ সালেই ৩৪ বছরের বাম শাসনের ইতি টেনে রাজ্যেট ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেইসময় যেভাবে রাজ্যে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়েছিলো। সেরকম ফের পরিবর্তন আসতে চলেছে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে। এমনটাই দাবী করলেন মুকুল রায়৷ গর্জে উঠে বললেন,’বাংলার মানুষের মধ্যে দিয়ে যে আওয়াজ উঠছে তা দেখে বলে যাচ্ছি তৃণমূল লোকসভায় ২০টির বেশি আসন পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!