মোদির উত্তরবঙ্গে আসা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের হেভিওয়েট মিনিস্টার উত্তরবঙ্গ জাতীয় রাজ্য February 1, 2019 উত্তরবঙ্গে মোদী সফর নিয়ে সরাসরি আপত্তি না করলেও ঘুরিয়ে সেই অসন্তোষ প্রকাশ করেই ফেলল তৃণমূল। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ি আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ফের একবার অস্থায়ী সার্জিট বেঞ্চ চালুর দাবী করে রাজনৈতিক ক্ষেত্র সরগরম করে তুললেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বললেন,”আপনি উত্তরবঙ্গে আসছেন আসুন। কিন্তু মানুষের যে দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি সেই দাবি মানতেই হবে। এক ঘণ্টার নোটিফিকেশনে সার্কিট বেঞ্চ চালু হতে পারে। কিন্তু, এর জন্য ছ’মাস নষ্ট হয়েছে। আমরা সার্কিট বেঞ্চ চালুর নোটিফিকেশন দাবি করছি।” গৌতমবাবুর বক্তব্য,জলপাইগুড়ি স্টেশন রোডে অবস্থিত হাইকোর্টের অস্থায়ী সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সবরকম পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও এখানে সার্কিট বেঞ্চ চালুর নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। এখনো এ সংক্রান্ত কোনো নোটিফিকেশনও জারি করা হয়নি মোদী সরকারের তরফ থেকে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থকে মাথায় রেখেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এটা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি অবিলম্বে সার্কিট বেঞ্চ চালু করার দাবীও জানান কেন্দ্রের কাছে। প্রসঙ্গত,এর আগেও কয়েক দফায় সার্কিট বেঞ্চ চালু করার দাবীতে সরব হয়েছিল তৃণমূল। সার্কিট বেঞ্চের সামনে মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। এরপর এদিন দ্বিতীয় দফায় ফের আন্দোলনে নামল শাসকদল। অবস্থান মঞ্চে এদিন গৌতম দেবকে দেখা যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদীসরকারকে তুলোধনা করার পাশাপাশি সার্কিট বেঞ্চ চালু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানাকে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। [content_block id=3910 পাশাপাশি হুঁসিয়ারী দিয়ে জানান,গতবার পঞ্চায়েত ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ৩৪ টি আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। এরকম জয় তিন দশকের বাম আমলেও কখনো দেখা যায়নি। এবার লোকসভা ভোটে রাজ্য থেকে এমন ধাক্কা পাবে বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গে পদ্ম ফোটানোর স্বপ্নই ভুলে যাবে তাঁরা। ৪২ এ ৪২ টি আসনই দখল করবে তৃণমূল। রাজ্যে বিজেপির যে ২ টি আসন ছিল,সে ২ টিও হারবে,এমনটাই সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তবে তৃণমূলের এই হুঁসিয়ারীকে তোয়াক্কা করলেন না বিজেপি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী। বললেন,প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসার কথা শুনলেই তৃণমূলের আন্দোলন চাগাড় দিয়ে ওঠে। গত ডিসেম্বরেও একই কারণে তৃণমূল আন্দোলন করেছিল। এবারও একই কারণে আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছে তাঁরা। যেই শুনেছে মোদী জলপাইগুড়িতে আসছেন সেই আন্দোলন নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছে তৃণমূল। আসলে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের এখন একটাই লক্ষ্য কীভাবে রাজ্যে বিজেপির প্রচারমূলক কর্মসূচি বানচাল করা যায়,এমনটাই বোঝাতে চাইলেন বিজেপি সভাপতি। এখন এই প্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সভা সুষ্ঠুভাবে করানোটাকেই পাখির চোখ করেছে গেরুয়াশিবির। আপনার মতামত জানান -