প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আইনি নোটিশ পাঠালেন এই তৃণমূল বিদায়ী সাংসদ কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 17, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচন মোদী বনাম মমতার রাজনৈতিক দ্বৈরথেই পরিণত হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে বাংলায় অন্যতম বাড়তি নজর দিয়ে এখানকার লোকসভার 42 টি আসনের মধ্যে 22 থেকে 23 টি আসন যাতে নিজেদের দখলে রাখা যায়, তার জন্য বারে বারেই রাজ্যে এসে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জোর করে জায়গা জবরদখল করে দলীয় অফিস বানানোর অভিযোগ তোলেন নরেন্দ্র মোদি। আর যে ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “গালি ও গুলির অত্যাচার মানুষ আর সহ্য করবে না। ভাইপোর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে দপ্তর বানানোর অভিযোগ রয়েছে। গরু পাচারকারী, নারী পাচারকারী, তোলাবাজ, সবেতেই পিসি- ভাইপোর বরাভয় রয়েছে।” আর এই ঘটনার পরই এবার নরেন্দ্র মোদিকে আইনি নোটিশ পাঠালেন তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন শাসক বনাম বিরোধী নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছিলেন। কিন্তু এবার তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় সেই অভিষেক বাবুর তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আইনি নোটিশ পাঠানোয় রাজনৈতিক লড়াই আইনি লড়াইয়ের আকার ধারণ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি আমি হারি তাহলে কান ধরে উঠবস করবো। আর যদি মোদী হারে তাহলে উনি কান ধরে উঠবোস করবেন। 23 মের পর মোদির বাড়ি চাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে থাকবে।” এদিকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পঞ্চধাতুর বিদ্যাসাগরের মূর্তি তৈরি করা হবে বলে জানালে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেখানকার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে, সেখানেই 50 ফুটের মূর্তি তৈরি করা হবে। পাশাপাশি আমরা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের মূর্তিও বানাবো।” নোটিশ পাঠানো নিয়ে বিজেপির দাবি এমন নোটিশ যদি প্রধানমন্ত্রী ঘুরিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোকে পাঠাতে শুরু করেন তবে তাঁদেরকে শুধু আদালতের চক্করই কাটতে হবে। আর অভিষেক ভয় পেয়েছে। আর যাকেই ভয় পায় তাকেই একটা করে নোটিশ পাঠায়। এই নিয়ে তৃণমূলের দাবি মোদিই ভয় পেয়েছে তাই বার বার বাংলায় ছুটে আসছে। আমাদের যা খুশি তাই বলবে আর তাদেরকে কিছু করা যাবে না।?অভিষেক ঠিক করেছে। বিজেপি বাংলায় কেন ২৩ তারিখের পর আর দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর তারপর দিদি প্রধামন্ত্রী হয়ে মোদির সব কুকীর্তি ফাঁস করবেন আর আইনি ব্যাবস্থা নেবেন। সব মিলিয়ে সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে শাসক বনাম বিরোধী নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এবং আইনি নোটিশ পাঠানোয় সরগরম রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -