এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করে টুইটারে পোস্ট প্রশান্ত কিশোরের, জোর চাপানউতোর

মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করে টুইটারে পোস্ট প্রশান্ত কিশোরের, জোর চাপানউতোর

প্রশান্ত কিশোর বরাবরই টুইটারের মাধ্যমে বিজেপির প্রতি তাঁর বিরোধিতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে টুইট করেন তিনি। বিগত কয়েকদিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতন পিকেও এনআরসি ও সিএএর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটারের মাধ্যমে একের পর এক টুইট করে তিনি তাঁর বিরোধিতা প্রকাশ করেছিলেন। এবার জেডিইউ নেতা ও বিজেপির মধ্যে নতুন দ্বন্দ্ব সামনে এলো। মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোর টুইট করলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা সুশীল মোদিকে। এই টুইট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বরাবরই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। প্রশান্ত কিশোর প্রায় প্রতিদিনই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন টুইটারের মাধ্যমে। এবার তিনি টুইটারের মাধ্যমে কটাক্ষ প্রকাশ করলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা সুশীল মোদির প্রতি। পিকে এদিন টুইটারের মাধ্যমে সুশীল মোদিকে উল্লেখ করে বলেন যে, যে ব্যক্তি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তার কাছে রাজনৈতিক জ্ঞান শুনতে ভালো লাগছে। ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে।

সুশীল মোদির সাথে প্রশান্ত কিশোরের এই বাকবিতণ্ডা কেন তা জানতে গেলে কিছুটা পিছিয়ে যেতে হবে আমাদের। বিহারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে একটি টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি। যাতে তিনি দাবি করেছিলেন, এতোদিন যেভাবে ফিফটি-ফিফটি অনুপাতে আসন বন্টন চলছিল এবার সেই নিয়ম পরিবর্তন করে নতুন নিয়ম মানতে হবে। আগামী বিধানসভায় 1-1.4 অনুপাতে আসন বন্টন হওয়া উচিত। অর্থাৎ যদি বিজেপি পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেয় তাহলে জেডিইউকে 7 টি আসন ছাড়তে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই টুইটটি সামনে আসার পরেই বিজেপি নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশিল মোদি জনসমক্ষেই প্রশান্ত কিশোরের নাম না করে তাকে রাজনৈতিক ব্যবসায়ী বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন,’একজন ব্যবসায়ী প্রথমে বাজার তৈরির চেষ্টা করেন। তার পর দেশের ভাল ভাবেন।’ যদিও টুইটটিতে কারোর নাম না থাকলেও পরিষ্কার বোঝা যায় তিনি নাম না করেও প্রশান্ত কিশোরকে উল্লেখ করে এই টুইট করেছেন।

এদিন সুশীল মোদীর এই টুইটের জবাবে পরবর্তী টুইতে কটাক্ষ করেন প্রশান্ত। তিনি বলেন ‘বিহারে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডিইউই সবচেয়ে বড় দল। এটা বিহারের মানুষ ঠিক করে রেখেছেন। অন্য কোনও দল বা অন্য কোনও দলের নেতারা নয়। তাছাড়া ২০১৫ সালে হারের পরও যে ব্যক্তি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁর থেকে রাজনৈতিক জ্ঞান শুনতে ভালই লাগছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ার টুইট যুদ্ধ সামনে আসার পরেই এ নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। একদিকে যেমন প্রশান্ত কিশোর বিজেপির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন তৃণমূলের হয়ে, সেরকমই সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিজেপির বিরোধিতা করে চলেছেন। অন্যদিকে, বিজেপিও পিছিয়ে নেই। তাঁরাও প্রশান্ত কিশোরকে জবাবী কটাক্ষ দিতে পিছপা হয়না কখনোই। পশ্চিমবঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক কাজ করলেও বিজেপি তাঁকে কখনোই বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নয়। আপাতত এই টুইট যুদ্ধ কোথায় থামে সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!