প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা সহ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের প্রতিবাদে এমনিতেই চাপে রয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর এবার লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখলেন একাধিক উচ্চ পদস্থ অফিসার। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর কাছে। যেখানে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আইপিএস, আইএএস অফিসারদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ধরনের চিঠি যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, প্রায় 93 জন প্রশাসনিক আধিকারিক এই ব্যাপারে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু কি নিয়ে তাদের অভিযোগ রয়েছে? মূলত চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, উন্নয়নের নামে লাক্ষাদ্বীপের বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে লাক্ষাদ্বীপের পরিবেশ এবং সমাজের সম্মানহানি হচ্ছে। তাই সেই সিদ্ধান্ত যাতে গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বলা বাহুল্য, জমি সংক্রান্ত নীতি, মদ্যপানের জন্য মুসলিম অধ্যুষিত দ্বীপ খুলে দেওয়া সহ একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যার জেরে তৈরি হয়েছে প্রতিবাদ। আর তাই সেই সমস্ত বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এবার প্রশাসনিক আধিকারিকরা সমবেত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যেহেতু একজোট হয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, সেহেতু অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে গেলেন লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক। দ্রুত এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা লাক্ষাদ্বীপ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। তাই এখানকার প্রশাসকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

একাংশ বলছেন, এর আগে এরকম কোনো ঘটনার নজির নেই। কিন্তু এবার যেভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে 93 জন উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সব মিলিয়ে সরকারি আমলাদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।