এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের পালের হাওয়া কেড়ে নিতে গোপনে সাধারনের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা?

তৃণমূলের পালের হাওয়া কেড়ে নিতে গোপনে সাধারনের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি অনেক বিতর্ক, বিবাদ, বিরোধ নিয়ে সংসদে পাস হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত নয়া কৃষি বিল। এই বিল পাস হবার সময় থেকেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে দেশের বিভিন্ন বিরোধী দল। দেশের নানা স্থানে একাধিক কৃষক সংগঠনও এই বিল এর বিপক্ষে বিক্ষোভ দেখায়। এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে নয়া কৃষি বিলের পক্ষে প্রচার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় জেলায় জেলায়। গতকাল কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের পক্ষে বিজেপির প্রচার কর্মসূচী দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলায়।

গতকাল জলপাইগুড়ি শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে রাহুতবাগানের পরেশনগরে চলল কৃষি বিলের সপক্ষে বিজেপির প্রচার কর্মসূচি। বিজেপির গতকালের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাহুতবাগানের বুথসভায় উপস্থিত হয়ে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বমি, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গ্রামবাসীদের কেন্দ্রীয় কৃষি আইন সম্পর্কে বোঝালেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

তবে বিজেপির এই হেভিওয়েটরা যে গতকাল এই সভাতে উপস্থিত হবেন, তা আগে থেকে জানানো হয়নি বিজেপির তরফ থেকে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জনৈক নেতা জানিয়েছেন যে, আগে থেকে প্রচার করলে তাদের কাজে বাধা দিত তৃণমূল। এছাড়া সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেক সময় গ্রামবাসীরাও আসতে রাজি হন না। এ কারণেই তারা এ বিষয়ে বেশি প্রচার চালান নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছিল ‘শোনো চাষিভাই, মায়েরা’ কর্মসূচি। গতকালের এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বমি জানালেন, “আমরা গ্রামে গিয়ে সকলকে ডেকে কৃষি আইন নিয়ে নিজেদের কথা বলছি। সকলে আগ্রহভরে শুনছেন, বুঝতেও পারছেন।” গতকাল এই কর্মসূচিতে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে জানালেন, “নতুন কৃষি আইনে দালাল বা ফড়েরা মুনাফার টাকা আর খেতে পারবে না। আপনারা সরাসরি ফসল বিক্রি করতে পারবেন।” গ্রামবাসীদেরকে খরগোশ ও হাতির গল্প শুনিয়ে তিনি তাদের উদ্যেশ্যে বললেন, “জঙ্গলে আকাশ ভেঙে পড়েছে বলে কে যেন রটিয়ে দিয়েছিল। খরগোশ-হাতি সবাই ছুটে পালাচ্ছিল। আপনারা সেরকম গুজবে কান দেবেন না।”

গতকাল রাতে প্রায় অন্ধকারে দুটি বাল্বের আলোর কাছে পুকুর ধারের মাটির রাস্তার একটু দূরে এক উঠোনে অনেক গ্রামবাসীকে একত্রে দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের পক্ষে শোনালেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তবে অভিযোগ উঠেছে, শ্রোতাদের মধ্যে কোন সামাজিক দূরত্ব ছিল না, এমনকি মাস্ক পর্যন্ত পরেননি তারা। বিজেপির এই কর্মসূচি সম্পর্কে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী মন্তব্য করেছেন, “ভয় পেয়ে বিজেপি রাতের অন্ধকারে বাসিন্দাদের ঝুরি ঝুরি মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!