প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন মাঝেমধ্যেই রাজ্যে আসতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এক্ষেত্রে রাজ্যে যেমন তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন, ঠিক তেমনই সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। বাংলার জন্য নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প ঘোষণা করে মানুষের মন জয় করতে চাইছেন তারা। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসলেও তিনি সরকারি টাকায় রাজনৈতিক মিটিং করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল সাংসদের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, রবিবার হুগলির শ্রীরামপুরে তৃণমূলের একটি সভায় যোগ দেন সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় তাকে। হেভিওয়েট এই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সরকারি টাকায় রাজনৈতিক মিটিং করে যাচ্ছেন। একটা ছোটো অনুষ্ঠানে প্রচুর সরকারি টাকা খরচ হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপির জন্য রাজনৈতিক সভা করে যাচ্ছেন।” আর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদের এই ধরনের মন্তব্য যে অত্যন্ত নজিরবিহীন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিরোধীদের দাবি, আসলে তৃণমূল কংগ্রেস চাপে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বারবার রাজ্যে এসে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। যার ফলে নির্বাচনের আগে ব্যাপক চাপে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা এখন এইসব মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। পর্যবেক্ষকদের দাবি, সামনের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যেই প্রধান লড়াই হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। সেদিক থেকে এই লড়াই যে অত্যন্ত জমকালো হয়ে উঠতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে এখন কেন্দ্রীয় নেতারা রীতিমতো বাংলায় ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেছেন। মাঝেমধ্যেই রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দলীয় কর্মসূচি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

আর তাই এই পরিস্থিতিতে সরকারি টাকা নষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে রাজনৈতিক মিটিং করছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শ্রীরামপুরের সাংসদ এই অভিযোগ করলেও, তা যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে পাল্টা সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে এখন রীতিমত শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে গোটা বাংলা জুড়ে।