এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মোদীর বৈঠকে থাকবেন না মমতা! আগে থেকেই জানতেন ধনকার ! বিস্ফোরক টুইটে শোরগোল!

মোদীর বৈঠকে থাকবেন না মমতা! আগে থেকেই জানতেন ধনকার ! বিস্ফোরক টুইটে শোরগোল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্যোগ পরবর্তী কলাইকুন্ডাতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরেই রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত সামনে আসে। তবে অন্যান্য যে সমস্ত বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যেত রাজ্যপালকে, এই বিষয়ে তেমন ভাবে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, ততই সঙ্ঘাত বেড়েছে। আর ঠিক তখনই রীতিমত বোমা বিস্ফোরণ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকর।

কলাইকুন্ডা বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছেন, তার এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এক্ষেত্রে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কলাইকুন্ডার বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না, তা তিনি আগেভাগেই জানতেন বলে বিস্ফোরক টুইট করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জাগদীপ ধনকার। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত টালমাটাল হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যেখানে তিনি লেখেন, “নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি হাজির থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি জানিয়ে রাখতে চাই, গত 27 মে রাত 11 বেজে 16 মিনিটে মমতা ব্যানার্জি আমাকে একটি মেসেজ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি! খুব জরুরী। তারপরেই উনি আমাকে ফোন করে ইঙ্গিত দেয় যে, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি সদলে ওই বৈঠক বয়কট করবেন।” আর টুইটের একদম শেষে গোটা ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ইতিহাসে কালো দিন বলে উল্লেখ করেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে শ্লেষাত্মক উক্তি দিয়ে তিনি লেখেন, “অহং জিতল, হেরে গেল নাগরিক পরিষেবা।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ এতদিন রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাতের মাঝে রাজ্যপালের নীরব থাকলেও, এবার তিনি রীতিমত ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সঙ্ঘাত যখন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে তৈরি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে মঙ্গলবার মুখ্যসচিবকে ছাড়তে না চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার প্রসঙ্গ নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপরেই জল্পনা আরও জোরালো হয়। তাহলে কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থাকার জন্য সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না! শুধুমাত্র মুখ্যসচিবকে নিয়ে কিছুক্ষনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তার হাতে বাংলার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন! আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি এবং তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে মেসেজ সম্পূর্ণরূপে ফাঁস করে দেওয়ায় রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে পড়লেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল যে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! রাজ্যপালের ট্যুইটের পর এই জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!