এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূলের বিড়ম্বনা, মোদীর দ্বারস্থ বিজেপি নেতারা, বড় কর্মসূচিতে সরগরম রাজ্য!

তৃণমূলের বিড়ম্বনা, মোদীর দ্বারস্থ বিজেপি নেতারা, বড় কর্মসূচিতে সরগরম রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাংলায় গণতন্ত্র নেই, এই অভিযোগ তুলে ধরে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। একাধিক বিষয়ে বিজেপি সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়করা বাংলার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বারস্থ হওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে বিজেপির নেতা নেত্রীদের গলায়। আর এবার তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরাসরি এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আগামী দিনে কিভাবে তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায় এবং বিরোধী দল হিসেবে তাদের কি কর্তব্য, সেই বিষয়টি পাকাপোক্ত করে নিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির বাংলার সাংসদরা বলেই মনে করছেন একাংশ।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর অফিসের থেকে সময় চাওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে সময় দেওয়া হয়নি। তাই সেই সময় পেলেই বিজেপির সাংসদরা আজ প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে বাংলার গণতন্ত্র এবং হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন।

শুধু তাই নয়, আগামী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে ময়দানে নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই ব্যাপারেও বিজেপির পক্ষ থেকে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী 13 তারিখে বিজেপির মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামবে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে এখন তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভের কৌশল নিয়েছে বিজেপি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, বিজেপির কাছে এখন প্রধান হাতিয়ার বাংলার হিংসা। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই এই হিংসার ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে সরব হতে শুরু করেছেন। এমনকি আদালতের নির্দেশের ফলেও যথেষ্ট চাপের মুখে তৃণমূল সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই হিংসার ঘটনা তুলে ধরে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভের চেষ্টা করা তৃনমূল কংগ্রেসকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিতেই ভারতীয় জনতা পার্টির বাংলার সাংসদদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, এখন আন্দোলনই একমাত্র পথ। তাই সেই রাস্তায় হেঁটে তৃণমূল সরকারকে চাপের মুখে ফেলে দিতেই ভারতীয় জনতা পার্টির এই উদ্যোগ। যদিও বা তৃণমূল বিজেপির এই উদ্যোগকে কোনোভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, রাজ্য শান্তির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা বিজেপির সহ্য হচ্ছে না। আর সেই কারণেই বিরোধী দলের জায়গা পেয়ে তারা রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বিভিন্ন বিষয়ে যে আগস্ট মাস জুড়ে বিজেপির আন্দোলন জারি থাকবে এবং তার ফলে যে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!