এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কি এবার ভাটা পড়ছে? সামনে আসা নতুন তথ্যে চোখ কপালে গেরুয়া শিবিরের

নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কি এবার ভাটা পড়ছে? সামনে আসা নতুন তথ্যে চোখ কপালে গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2014 সাল থেকে দেশে বিজেপির প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদী। “হর হর মোদি” “ঘর ঘর মোদি” স্লোগান দিয়ে 2014 সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। তারপর তাদের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যতদিন গিয়েছে, ততই বেড়েছে বিজেপির সমর্থন। গত 2019 সালে আরও বেশি পরিমাণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ভরসা সেই নরেন্দ্র মোদী। বলাবাহুল্য, এখনও পর্যন্ত বিজেপি যে কোনো রাজ্যে নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান মুখ হিসেবে ব্যবহার করে সেই নরেন্দ্র মোদিকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদির কোনো বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হতে দেখা যায়।

কিন্তু এবার সেই নরেন্দ্র মোদির “মন কি বাত” এর বক্তব্যে লাইকের থেকে ডিসলাইকের সংখ্যা বেশি পরিমাণে পড়তে দেখা গেল। যার ফলে বিজেপির অন্দরে এখন ব্যাপক সংশয় তৈরি হয়েছে। তাহলে কি ধীরে ধীরে নরেন্দ্র মোদির কারিশমা ফিকে হতে শুরু করেছে! রবিবার প্রধানমন্ত্রীর একটি নতুন “মন কি বাত” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনেকে আশা করেছিল, যেখানে দেশজুড়ে নিট এবং জয়েন্ট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেরকম কোনো বার্তা দেখতে দেখা যায়নি তাকে। যার পরেই নতুন এই ভিডিওতে লাইকের থেকে ডিসলাইকের সংখ্যা বেশি পড়তে দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে ভিডিওতে লাইক করেছেন 28 হাজার দর্শক, সেখানে ডিসলাইক করেছেন প্রায় 2 লক্ষ 56 হাজার মানুষ। আর এইরকম পরিসংখ্যান সামনে আসায় এখন রীতিমত চিন্তিত ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি মোদী ম্যাজিক এবার শেষ হতে চলেছে? ইতিমধ্যেই এই পরিসংখ্যানের বিষয়ে মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতবর্ষের বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস। এদিন টুইটারে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী লেখেন, “জয়েন্ট পরীক্ষার্থীরা চেয়েছিলেন, পরীক্ষা পে চর্চা হোক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী করলেন খিলনে পে চর্চা। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেই বিষয়ে কিছুই বলতে দেখা গেল না প্রধানমন্ত্রীকে। আর তাতেই সবাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।”

স্বাভাবিকভাবেই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য এত সমর্থন পায় ভারতীয় জনতা পার্টি, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর “মন কি বাত” এর অনুষ্ঠান এত পরিমাণে ডিসলাইক বিজেপিকে অনেকটাই বিমূর্ষ করে দিল। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনায় বিরোধীরা তাদের হাতে নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি এর পরিপ্রেক্ষিতে কি বিবৃতি দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!