এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদীর কাছে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন কারণ!

মোদীর কাছে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন কারণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কারের মুখে পড়তে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। যেখানে নিজের ভুল বুঝতে পেরে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঠিক কি কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী?

এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। জানা গেছে, শুক্রবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বৈঠক ডেকেছিলেন, সেই বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আর তার এই পদক্ষেপকে নিয়েই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী‌। স্বাভাবিকভাবেই নরেন্দ্র মোদীর এই প্রশ্নের জবাবে কার্যত চাপে পড়ে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তারপরই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় তাকে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠক করছিলেন, তখন তা সরাসরি সম্প্রচার করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৈঠকে যখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তখনই তাকে থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আমাদের যা প্রটোকল রয়েছে, এখানে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি আভ্যন্তরীণ বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করছেন। এমনটা একেবারেই হওয়া উচিত নয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই কার্যত ক্ষমা চাইতে দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি বলেন, “এমনটা ভবিষ্যতে আর হবে না।” এমনকি যদি তার কথা বা আচরণে কোনো কঠোরতা প্রকাশ পেয়ে থাকে, সেজন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন বলেও জানিয়ে দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই আচরনকে কেন্দ্র করে এখন নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কেন সবকিছু জানা সত্বেও মিটিংয়ের প্রটোকল ভেঙ্গে এইভাবে তা সম্প্রচারিত করছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কঠিন সময় এভাবে রাজনীতি করা উচিত নয়‌। অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন তিনি করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেননি। উল্টে কেন্দ্রের অব্যবস্থার দিকগুলো তুলে ধরতে শুরু করেছিলেন। আর সেই বক্তব্য সম্প্রচারিত হওয়া কার্যত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করতে শুরু করেছেন একাংশ।

যদিও বা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অন্য কথা জানানো হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোনো নির্দেশ ছিল না যে, এই ধরনের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা যায় না। তবে যে যাই বলুন না কেন, প্রধানমন্ত্রী গোটা বিষয়টি দেখার পরে যেভাবে তিরস্কৃত করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে ক্ষমা চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষ তাদের স্বজন হারানোর বেদনায় শোকাহত এবং নিজেদের জীবন নিয়ে সংকটে, তখন এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!