মোদীর নামে ভোট হলেও বিধানসভার আগেই জল্পনা সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নামে সিলমোহর বিজেপির জাতীয় August 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেশের অন্য একটি রাজ্যে 2019 এই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আর তা নিয়ে এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরে ব্যস্ততা চরমে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে বিহার রাজ্যে। একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যা- এই দুই প্রাকৃতিক আঘাতে ঘায়েল বিহারে বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহারের মতন রাজ্যে বন্যা কবলিত মানুষগুলিকে উদ্ধার এবং ত্রাণের প্রচেষ্টা বছরের শেষে ভোটদানের অন্যতম মুখ্য কারণ হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির থেকে বরাবর ভোট করা হয় নরেন্দ্র মোদির নাম সামনে রেখে। একটা সময় রাজনৈতিক মহলে জোর গুজব উঠেছিল, বিজেপি হয়তো এবার বিহারে জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট ভেঙে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর নেতৃত্বে ভোট হওয়ার কথা ছিল। আবার অনেকেই দাবি করেছিলেন, বিহার নির্বাচনে এবার মুখ হতে পারেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে নীতীশ কুমারকে মুখ করেই এবার বিহারে নির্বাচন হতে চলেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিরোধীরা ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্যা পরিস্থিতি একবারু সরেজমিনে না দেখতে যাওয়ার জন্য বর্তমানে বিহারে নীতিশ কুমারের প্রবল সমালোচনা চালাচ্ছে বিরোধীরা। আরজেডির পক্ষ থেকে তেজস্বী কুমার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছেন। তবে আরজেডির অন্দরের অনেকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের অনুপস্থিতি এই মুহূর্তে দলের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ এর সাংসদ জয়সওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল জেডিইউ-এর সঙ্গে একজোট হয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে এবং এই জোটের মুখ হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করবেন নীতিশ কুমার। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিহারে ভার্চুয়াল প্রচার নিয়ে। কারণ করোনা আবহে এই মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচার সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিহারে ইন্টারনেট ব্যবস্থা সব জায়গায় চালু হয়নি এখনো। তাই সেক্ষেত্রে বিজেপি জেডিইউ জোট কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিহারে এই মুহূর্তে জেডিইউ বিজেপি জোট কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন। কারণ আরজেডি শিবির উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আপাতত নজর বন্যা পরিস্থিতি এবং করোনা পরিস্থিতি সামলে বিজেপি জেডিইউ জোট কিভাবে মানুষের ভোট জেতেন! আপনার মতামত জানান -