এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপিকে ঠেকাতে কেন্দ্রীয় আইনকে ছুঁড়ে ফেলে এবার রাজ্যে রাজ্যে নিজস্ব আইনের পথে বিরোধীরা?

বিজেপিকে ঠেকাতে কেন্দ্রীয় আইনকে ছুঁড়ে ফেলে এবার রাজ্যে রাজ্যে নিজস্ব আইনের পথে বিরোধীরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত নয়া কৃষি বিল সংসদে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী নয়া কৃষিবিল কৃষকদের স্বার্থের অনুকূল বলে প্রচার করলেও পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, কর্ণাটক সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। যে তিনটি নয়া কৃষি আইন নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, সেগুলি হল ‘‌দ্য ফার্মার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (‌প্রোটেকশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন)‌ অ্যাক্ট’,‌ ‘দ্য ফার্মার্স (‌এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রটেকশন)‌ এগ্রিমেন্ট অফ প্রাইস অ্যাসুরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অ্যাক্ট’‌ ও ‌’‌দ্য এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ (‌অ্যামেন্ডমেন্ট)‌ অ্যাক্ট’‌।

পাঞ্জাবে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা ২ রা অক্টোবর পর্যন্ত রেল রোকো কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন বিরোধী দল আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সমর্থন জানিয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বসেছেন অনশনে। পাঞ্জাব সরকার নয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নয়া কৃষি আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করতে চলেছে তারা।

কেন্দ্র প্রস্তাবিত নয়াকৃষি বিলের বিরোধিতা করে কর্ণাটকে বন্‌ধ পালিত হলো। সোমবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি ট্রাক্টরে আগুন জ্বালিয়ে এই বিলের প্রতিবাদ জানান কৃষকেরা। শেষ পর্যন্ত দমকল এসে সেই আগুন নেভায়। পুলিশ সূত্রের খবর, যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই ট্রাক্টর জ্বালানোর ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রসঙ্গত এনসিআরবি বা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী গত ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমগ্র ১৩ হাজার কৃষক বিক্ষোভে ঘটনা দেশে ঘটেছে। যার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই হিংসা ছড়িয়েছিল। তবে এবারের আন্দোলন অনেক বেশি ব্যাপক। নয়া কৃষি আইনে ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী ‘‌কিসান কি বাত’ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আন্দোলনে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বললেন। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি তাদের কিছু প্রশ্ন করে তিনি জানতে পেরেছেন যে, আন্দোলনকারীরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় কৃষি বিলকে কালা কানুন বলে উল্লেখ করেছেন। কোন কোন কৃষক এই বিলকে করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি ক্ষতিকারক বলে মন্তব্য করেছেন।

রাহুল গান্ধী কেন্দ্রের এই নয়া কৃষিবিলের সঙ্গে পূর্বের নোট বন্দি, জিএসটির তুলনা করে জানালেন, ” ‌কৃষি বিলগুলি আসলে কালা কানুন। কৃষকদের বঞ্চিত করে শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই আইন আনা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে কৃষকদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করবে মোদি সরকার।”

নয়া কৃষি বিলে কংগ্রেস ও অন্যান্য দলগুলোর বিরোধিতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী গতকাল মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের একটি মেগা প্রজেক্ট ‌এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম না করেই কংগ্রেস ও বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি জানালেন, “‌এই বিরোধী রাজনীতির পেছনে রয়েছে ৪ প্রজন্ম ধরে অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে ক্ষমতায় থাকা একটি রাজনৈতিক দলের হতাশা। সরকারের শুভ উদ্যোগের বিরোধিতা করে তারা সমাজে নিজেদেরই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে। ”

অন্যদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস শাসিত রাজ্য গুলিতে কেন্দ্র আনীত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই আইন প্রবর্তন না করে নতুন কৃষি আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিলেন। গতকাল মঙ্গলবার পুডুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই তারা একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় কৃষি আইনগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই আইনে শিল্পপতিদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। এর ফলে বেআইনিভাবে মাত্রাছাড়া ফসল মজুতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবেন কৃষকরা।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!