মোদীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক অব্যাহত! প্রিয়াঙ্কার পর এবার বাংলো ছাড়া হবে কংগ্রেসের সদর দপ্তরও? কংগ্রেস জাতীয় বিজেপি রাজনীতি August 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইউপি এর শাসনকালে 35 নম্বর লোধি এস্টেটের বাড়িটি কংগ্রেসের হাতে আসে। তার সাথে আকবর রোড এর বিশাল বাংলোটিও কংগ্রেসের সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত হয়। দেশের মসনদ বদল হতেই কংগ্রেসীদের মনে জমে আশঙ্কার কালো মেঘ। 2019 এর লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা পরোক্ষভাবে বলা হলেও সে অর্থে নোটিশ কিছু দেওয়া হয়নি। কিন্তু জুলাই মাসে এবার পাকাপাকিভাবে সরকারি নির্দেশ আসে। এবং চটজলদি বাড়ি ছাড়তে বলা হয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। সরকারি নির্দেশ মেনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অবশ্য লোধী এস্টেটের বাড়িটি ছেড়েও দেন। আর এবার জানা গিয়েছে, আরও চারটি সরকারি বাসভবন থেকে কংগ্রেস নেতাদের সরানো হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে কংগ্রেসের সদর দপ্তর 24 আকবর রোড। সেই অনুযায়ী প্রস্তাব পাস করতে পাঠানো হয়েছে ডাইরেক্টরেট অফ স্টেট ক্যাবিনেট কমিটি অন অ্যাকোমোডেশন এর কাছে। আর প্রস্তাব পাস হলে এবার চারটি সরকারি বাংলো এবং অফিস খালি করে দিতে হবে কংগ্রেসকে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই চারটি সরকারি ভবনের মধ্যে রয়েছে 24 নম্বর আকবর রোড। তার সাথে কংগ্রেসের সেবা দলের কার্যালয়, 5 রাইসিনা রোডে যুব কংগ্রেসের অফিস এবং সি আই আই 109 চাণক্যপুরীর একটি আবাসন। ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটের এক আধিকারিক ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে এবার বাংলাগুলি খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সূত্রের খবর, 2010 সালে রুজ অ্যাভিনিউতে সদর কার্যালয় তৈরীর জন্য জমি দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসকে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই সদর দপ্তরের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তাই এই মুহূর্তে আকবর রোডে কংগ্রেসের অফিসটি ছাড়তে হবে না বলে জানা গেছে। তবে যুব কংগ্রেস, কংগ্রেস সেবা দল এবং চাণক্যপুরীর বাংলোটি ছেড়ে দিতে হবে। এর আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাংলোটি এসপিজি নিরাপত্তাপ্রাপ্তদের জন্য বরাদ্দ বলে তাঁকে বাংলো ছাড়তে বলা হয়েছিল। কারণ প্রিয়াঙ্কা এখন এসপিজি নিরাপত্তা পাননা। পুরো ঘটনাটি গেরুয়া শিবির নিয়ম পালনের দিক দিয়ে বর্ণনা করলেও কংগ্রেস শিবিরের পক্ষ থেকে এটিকে রাজনৈতিক বদলার আঙ্গিকেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। জাতীয় রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে এখন জোরদার জল্পনা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি সরকার কংগ্রেসকে মুখে কিছু না বললেও নিয়মের মধ্যে দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু করলেন। আপাতত এই ঘটনা নিয়ে আগামী বেশ কিছুদিন জাতীয় রাজনীতি মুখর থাকবে, সে কথা বলাইবাহুল্য। আপনার মতামত জানান -