এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মোদীর সভায় মেলেনি অনুমতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও বিজেপির!

মোদীর সভায় মেলেনি অনুমতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহরা বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারী করতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতি করে বাংলায় গেরুয়া হাওয়া তীব্র করতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। আর সেই সভার অঙ্গ হিসেবে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে নির্বাচনী জনসভা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে রাজনৈতিক সভা করার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পরেই রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বিজেপির নেতা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে কেন তাদের সভার জন্য দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিজেপি নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 12 এপ্রিল এই কল্যাণী মাঠে জনসভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেইজন্য কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী আসলে তাকে স্বাগত। কিন্তু রাজনৈতিক জনসভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। আর এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিজেপি নেতৃত্ব।

যেখানে মাঠ আদায়ের জন্য মঙ্গলবার রেজিস্টারকে ঘেরাও করে বিজেপির রাজ্য কেন্দ্র এবং জেলা স্তরের নেতারা। যেখানে রেজিস্ট্রারের ঘরে ঢুকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আপত্তি করা হলেও, কেন বিজেপি বলপূর্বক সেই মাঠ আদায় করতে চাইছে, এখন তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির পক্ষ থেকে একথা বলা হলেও পাল্টা এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় বলেন, “ওরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য মানছে না। তাই বুধবার সকালে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলা হয়েছে।” তবে এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য অন্য অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গা আমরা চেয়েছিলাম। কোনো অ্যাকাডেমিক জায়গা চাইনি। প্রথমে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছিল। পরে তৃণমূলীদের ইন্ধনে আমাদের আটকানোর চেষ্টা হয়েছে।”

যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অরুপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাজনৈতিক প্রয়োজনে কখনও মাঠ ব্যবহার করিনি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর এভাবে চাপ দিতে শুরু করল বিজেপি, এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষাঙ্গনের মাঠ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করবার জন্য বিজেপি যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে, তাতে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে যেতে পারে তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। যা ভোটের ময়দানে বিজেপিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!